|
---|
কে কে আনাম : মেমারি পৌর সভার উদ্যোগে একাদশ তম বইমেলার শুরু হয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি । উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর মঞ্চে – ঐকতান প্রাঙ্গণে আজ আনন্দ মুখর সংগীত সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সংগীত শিল্পী রঙ্গবতী – রঙ্গবতী খ্যাত ইমন চক্রবর্তী। শিল্পীকে বরণ করেন মেমারি পৌর সভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী ও ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত।
ইমন লাইভ শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৬ টার সময়, শুরু হয় পৌনে আটটা নাগাদ। বিকাল থেকে আসতে থাকেন মানুষ। অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি হওয়ায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে দর্শকদের। বহু অপেক্ষার পর আসে সেই আনন্দ ক্ষণ। শিল্পী প্রথমে ভক্তিগীতি দিয়ে শুরু করে রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে ব্যান্ডের গানে চলে যান। সেখান থেকে একেবারে নিজস্ব ঢংয়ে একের পর ধামাকা। ভেবে দেখেছ কি, না জানে কোয়ি জীন্দেগানি, মারহবা – মারহবা, ইনি বিনি টাপা টিনি, বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা, জারা জারা মেহেকতা, রঙ্গবতী রঙ্গবতী, যে কদিন তুমি ছিলে কাছে, দে দে পাল তুলে দে, সুন্দরী কমলা নাচে, লীলাবালি লীলাবালি, মেরে পিয়া ঘর আয়া, তুমি অন্য কারো ছন্দে, প্রতিটি গানে দর্শকদের রেস্পন্স ছিল খুব ভালো। মাটি কাঁপানো হাততালির সঙ্গে বিন্দাস নাচও। ৯.২০ মিনিটে শিল্পী মেমারিবাসীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর গান শেষ করেন।
একাদশ তম মেমারি বইমেলা ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত । ৫০টির বেশি স্টলে কলকাতার বিখ্যাত পুস্তক প্রকাশনী ও বই বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এসেছে বইমেলায়। মেমারির নতুন বাসস্ট্যান্ডে স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের ও পুস্তক প্রেমী দের ভিড়ে প্রতিদিনই জমজমাট হয়ে উঠছে বইমেলা। তবে আজ সমস্ত কিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছিল মেলা প্রাঙ্গণ। পুস্তক প্রেমী ও সংগীতপ্রমীদের সম্মিলিত উপস্থিতিতে মানুষের মধ্যে একটা বাড়তি উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।
বইমেলা চলবে আরও দু’দিন বিভিন্ন দিনে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, ক্যুইজ, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, রং ভরো, নাটক প্রভৃতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শিল্পী ইমন চক্রবর্তী সাধারণের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন , অন্তত একটা করে বই কেনার। তাহলে বইপড়াটা বেঁচে থাকবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও যুবনেতা সাহেব রসুল।