|
---|
সেখ সামসুদ্দিন : ২২ এপ্রিল, পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত দুর্গাডাঙ্গা গ্রামে আল আমিন মিশন বয়েজ স্কুল তথা হোস্টেলে ঢুকে বহিরাগতদের তান্ডবে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে হোস্টেলের ভিতরে ঢুকে ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেমারি থানার পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় মেমারি এলাকায়। লাঠি রডে করে পেটানোর অভিযোগ, গুরুতর জখম হয় বেশ কয়েকজন ছাত্র। তড়িঘড়ি মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা।মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ছাত্রদের কাছে জানা যায় হোস্টেলে ১২০ জন ছাত্র আছে। তার মধ্যে ২০ জনের সঙ্গে শিক্ষকদের মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। তারপর যে শিক্ষকরা বহিরাগত লোক ঢুকিয়ে সমস্ত নিরাপরাধ ছাত্রদের পেটাবে কল্পনার বাইরে ছিল। এই ঘটনায় এলাকাবাসী সহ অভিভাবক মহল শঙ্কিত কোন ভরসায় গাদাগাদা টাকা খরচ করে ছেলেদের পড়তে পাঠাবে! হোস্টেল ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় ৫ জন, ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পাঠায় মেমারি থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন শিক্ষক হাসিবুল আলম, মোজাফ্ফর সেখ, সেখ কিতাবুল, সেখ আব্বাস ও সেখ সফিকুল। মেমারি থানায় ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ আসার পর পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।