|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্ধমানের রমজান আকাদেমিতে গুণীজনদের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হলো অধ্যাপক ড. তিমিরবরণ চক্রবর্তী (ডি.লিট) মহাশয়ের গবেষণা গ্রন্থ ‘মহাকবি নজরুল : একটি সমীক্ষা’। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি, নজরুল কেন মহাকবি তার বিস্তারিত তথ্য এই গ্রন্থে পাওয়া যাবে। গ্রন্থের লেখক ড. তিমির বরণ চক্রবর্তী মহাশয় দীর্ঘদিন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি প্রায় পনেরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট ও পিএইচ.ডি গবেষকদের পরীক্ষক। আক্ষেপ করলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে নজরুলকে কেন বিশেষ পত্র হিসেবে রাখা হচ্ছে না। তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরুলকে বিশেষ পত্রে রেখে অনেক গবেষক তৈরি করেছেন। অধ্যাপক চক্রবর্তীর সুযোগ্য পুত্রসম আরেক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জানালেন, বাংলা ভাষাভাষী ছাত্ররা আলিগড়ে গিয়ে কীভাবে স্যারের পিতৃ-সান্নিধ্য পেয়েছে। ওনার স্ত্রী মায়া লন্ডন থেকে গ্রাজুয়েট হয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তান সম দৃষ্টিতে দেখতেন, তাদের ঘরে রেখে খাওয়াতেন, তাদের গবেষণা কাজে সাহায্য করতেন। এমনকি তাদের নামাজ পড়া এবং ইফতারে নিজের হাতে খাইয়ে আনন্দ পেতেন। অনামিকা কোনারের নজরুল গীতি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। নজরুলের লেখা প্রথম চিঠি পাঠ করে শোনান আকাশবাণী বাচিকশিল্পী ভবতোষ দাস। সুললিত কন্ঠে আবৃত্তি করেন রমজান আলির লেখা কবিতা ‘তোমাকে মালা দিতে গিয়ে’। ড.কবিতা মুখার্জি জানালেন তাঁর ছোটবেলায় নজরুলকে গান শোনানোর স্মৃতি। আপাত অচেতন অবস্থার মধ্যেই তাঁর চেতনার নাড়াচাড়া ছিল বলে দাবি করলেন। কোনো সভায় দর্শক শ্রোতার সামনে উপস্থিত থেকে তাঁর অস্থিরতা , আবার গান শুনে থেমে যাওয়া। গ্রন্থ প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন দিক থেকে নজরুলকে স্মরণ করা হয়। নজরুলের ‘লিচু চোর’ কবিতাটি মুখাভিনয় করে দেখালেন আলমগীর মন্ডল এবং তাকে মাউথ অর্গানে যথাযথ সংগত করে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করলেন সোমনাথ দাস মহাশয়। উপস্থিত ছিলেন প্রবন্ধকার ও লোকসাহিত্য গবেষক ভব রায়, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, মনিরুদ্দিন শাহ, ড. শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী, নাট্য ব্যক্তিত্ব রমাপতি হাজরা, কবি আকবরের আলী প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। সুললিত কন্ঠে আবৃত্তি পরিবেশন করেন মঞ্জরী খাতুন। নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন চন্দনা সরকার, মৌ গাঙ্গুলী, সঞ্চিতা দাস। অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করেন শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী।