মেমারির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরশ পাথরের বর্ণাঢ্য বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা : মেমারির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরশ পাথরের বর্ণাঢ্য বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে মেমারির অগ্রজ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরশ পাথর। মেমারি রসিকলাল বালিকা বিদ্যালয় এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। সংগঠন টির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল আমোদপুর এর সদ্যপ্রয়াত স্বামীহারা জ্যোৎস্না নন্দী কে পরশ পাথর এর পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, সংগঠনটি করোনাকালে করোনা আক্রান্ত গৃহবন্দী পরিবারের পাশে থেকে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও দুস্থ গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে বইও শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়। এছাড়াও ইলাম পুরের হীরা বাগ ও আমাদপুর এর জন্মান্ধ সরস্বতী টুডু দের সাহায্য প্রদান করেছে পরশ পাথর। পরশ পাথর এর অন্যতম সদস্য রিয়া খাতুন জানান, ৬৫০ জন প্রতিযোগী এই তিনটি বিভাগে অংশগ্রহণ করে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী জানান, পরশ পাথর দু’বছরের মধ্যে সমাজসেবামূলক কাজ করে এলাকায় নজির গড়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব সু ও সভাপতি বাসুদেব সু। পরশ পাথর এর পক্ষ থেকে সকলকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন সুদীপ্ত মল্লিক, দেব কুমার চ্যাটার্জী, মাধব রায়, সমীর কোলে, রাজু সাউ, চৈতালি দাস, মিঠু চ্যাটার্জী, কাঁকন সু, আয়ুশি ভট্টাচার্য, দিনো বন্ধু ঘোষ প্রমুখ। সংগীত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঞ্চালক ও সঙ্গীত শিল্পী মুক্তা রায়, তপতী কর, আহিরি নাহা, নীলাঞ্জনা রুদ্র। কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অমিত সাধুখা, মাধব ঘোষ, শুভাশিস মল্লিক। অঙ্কন প্রতিযোগিতায় ছিলেন শিবাজী বসু, দেবাশীষ ব্যানার্জি ও কাঞ্চন দাস। নৃত্য প্রতিযোগিতায় বিচারকের আসন অলংকৃত করেন অনন্যা চ্যাটার্জি, সোমা দাস, পিয়া বসু ও রোহিণী ব্যানার্জি। পরশপাথরের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান এলাকায় উৎসব হিসেবে পরিলক্ষিত হয়।