আশা কর্মীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপি

জলপাইগুড়ি: আশা কর্মীদের সরকারি স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি এবং মাসিক ন্যূনতম ২১ হাজার টাকা মজুরি, মাসিক বেতনের সঙ্গেই মাসের ১ তারিখ উৎসাহ ভাতা দেওয়া , কোভিড আক্রান্ত আশা কর্মীদের অবিলম্বে সরকারী বরাদ্দকৃত ক্ষতিপূরনের টাকা দেওয়া, কোভিড ইনসেনটিভ বাবদ সরকারের বরাদ্দকৃত মাসিক হাজার টাকা দেওয়া, নবগঠিত জেলার বানারহাট ও ক্রান্তি ব্লকে অবিলম্বে বিএমওএইচ দপ্তর স্থাপন, মহামারী মোকাবেলায় নিয়মিত নির্দিষ্ট নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেওয়ার দাবীতে জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে সোমবার স্মারকলিপি দিল সিআইটিইউ অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্যরা।

    এদিন জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আশা কর্মীরা জমায়েত হন জলপাইগুড়ি শহরের মাদ্রাসা ময়দানে। সেখান থেকে মিছিল করে ডিবিসি রোড, থানা মোড়, সমাজপাড়া, দিনবাজার, রায়কতপাড়া মোড় হয়ে মিছিল পৌঁছায় সিএমওএইচ দপ্তরের সামনে। সেখানে দপ্তরের সামনে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখানোর পর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন চুমকি দাস, নেহার বেগম, অঞ্জলি সূত্রধর, খাইরুলনেসা, আল্পনা ছেত্রী, লক্ষ্মী সরকার, রাধা শর্মা প্রমূখ।

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর সঙ্গে দেখা করে বাইরে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদিকা চুমকি দাস বলেন দৈনন্দিন জীবন ও পেশায় বহুমুখী সমস্যা ও বিপদের সামনে দাঁড়িয়েও প্রতিটি বাড়িতে মানুষের কাছে পৌঁছে কোভিড টিকাকরণ, রোগী চিহ্নিতকরন সহ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক নির্ধারিত কাজ তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করে চলেছেন। অথচ চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা তাদের জীবন-জীবিকার চাহিদা পূরণে সরকার উদাসীন। অবিলম্বে তাদের দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।