|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন ,গতি, মালদা : মানিকচক থানার ভগবানপুর এর ছোট্ট দুটি মেয়ের ভরসা একমাত্র ভগবান ।ভগবানের মায়া খেলায় গত দু’বছরের মা বাবাকে হারিয়েছে ছোট্ট দুটি মেয়ে দেবী ও পার্বতী। মরা বাবা মায়ের দেওয়া নামেই হয়তোবা তুষ্ট হয়েছেন ভগবান। আর তাই শুধুমাত্র ভগবানের কৃপায় পৃথিবীতে টিকে আছে ছোট্ট দুটি প্রাণ। সত্যিই ভগবানই ভরসা। কারণ সরকারি সাহায্য তো মেলেনি। প্রশাসনের কোন কর্তা ব্যক্তি ও চোখ তুলে তাকায়নি এই দুই অসহায় বোনের দিকে। বাবা নগেন মাঝি দিনমজুরের কাজ করতেন। ভিন রাজ্যে ও যেতেন কাজের সন্ধানে। ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে এক দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হলেন নগেন। তারপর থেকে চরম অসুস্থ। গত দুবছর আগে মৃত্যু হলো তার। একই দশা হয় মা চঞ্চলা মাঝিরও। চরম অসুস্থ হয়ে গত এক বছর আগে তার মৃত্যু হয়। মা বাবাকে হারিয়ে অনাথ অসহায় হয়ে পড়ে দুই বোন দেবী ও পার্বতী। সাত কুলে আর কেউ নেই। তাদের তারপর থেকেই চলছে বেঁচে থাকার লড়াই। কায়িক পরিশ্রম করার সামর্থ্য নাই ছোট্ট দুই বোনের। তাই ভিক্ষে করেই পেট চালাতে হয় তাদের। বড় বোন দেবী মাঝি অষ্টম শ্রেণীর ও ছোট বোন পার্বতী মাঝি পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ।দুজনেই কালিন্দী হাই স্কুলে পড়ে। ক্লাস নাইনে উঠলে তবে জুটবে সরকারি সাইকেল। তাই বাড়ি থেকে স্কুল তিন কিলোমিটারের বেশি পথ পায়ে হেঁটেই যেতে হয় তাদের। খাবারের ব্যবস্থা করতে না পারলে দুই বোনে ছোটে স্কুলের দিকে। কারণ তখন একমাত্র ভরসা মিড ডে মিল। মানিকচক থানার চৌকির মিরজাতপুর অঞ্চলের ভগবানপুর তাদের বাড়ি। টালির ছাদের ছোট্ট একটা মাটির ঘর। বাড়ি গিয়ে দেখা গেল দুই বোনই বাড়িতে নেই। একটু পরেই দুই বোনই মাথায় বড় মাটির ঢিপি নিয়ে হাজির। মাটি কি করবে জানতে চাওয়ায় তারা জানাই মাটির ঘরে অনেক ফাটল ধরেছে সেটির মেরামত করতে এই মাটি।