মিঠুন চক্রবর্তী সোমবার বিকেলেই বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে যাবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক ও করতে পারেন

নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতায় পৌঁছলেন মিঠুন চক্রবর্তী । শরীর ঠিক থাকলে সোমবার বিকেলেই বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে যাবেন তিনি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, মঙ্গলবার জনসংযোগ কর্মসূচিতেও যোগ দিতেও পারেন ‘মহাগুরু’। তবে এ বিষয়ে মিঠুন চক্রবর্তী কিংবা বিজেপির তরফে কেউ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।সোমবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতা সফরের নেপথ্যে কি কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে? তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উন্মাদনা তুঙ্গে। শোনা যাচ্ছে, শরীর ভাল থাকলে সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিজেপির রাজ্য দপ্তরে যেতে পারেন তিনি। মঙ্গলবার জনসংযোগ কর্মসূচিতেও যোগ দিতে পারেন। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কিছুই বলেননি তারকা রাজনীতিক। “কিছু বলব না”, বলেই সাফ জানান তিনি। আদৌ মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে যাবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও পদ্মশিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শরীর ঠিক থাকলে আসতে পারেন। জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে এখনও কিছু স্থির হয়নি।” গত বিধানসভার মতো লোকসভা নির্বাচনের আগেও কি মাঠে ময়দানে দেখা যাবে তাঁকে, সে জল্পনা ক্রমশ আরও জোরাল হচ্ছে।উল্লেখ্য, প্রথম জীবনে নকশাল আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন মিঠুন। তবে তারপর অভিনেতা হিসাবেই মূলত নিজের পরিচয় গড়ে তোলেন। ২০১৪ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হন মিঠুন। মাঝে বারবার তাঁর সঙ্গে সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের একান্ত সাক্ষাৎ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। বিজেপিতে যোগদানের জল্পনাও মাথাচাড়া দিয়েছিল একাধিকবার। সেই সময় সে ব্যাপারে একটি শব্দও খরচ করেননি মিঠুন। এরপর ২০২১ সালে আচমকাই সিদ্ধান্ত বদল। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেবছরই ২১ মার্চ বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন মিঠুন।

     

    রাস্তায় নেমে বিজেপির হয়ে প্রচার করতেও দেখা গিয়েছিল মিঠুনকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) উপস্থিতিতে ব্রিগেডের সভা থেকে তাঁর ছবির ডায়ালগ উদ্ধৃত করে বক্তৃতা দেন অভিনেতা-রাজনীতিক। “আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি” – এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান মিঠুন। তাঁর মন্তব্য অশান্তি ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। কিন্তু মামলাটির কোনও সারবত্তা খুঁজে না পাওয়ায় তা খারিজ করে দেন বিচারপতি। মানিকতলা থানায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের হয়। তবে তারপর থেকে প্রায় এক বছর আর সেভাবে তারকাকে রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যায়নি। বছরখানেক পরে ফের পার্টি অফিসে আসার কথায় স্বাভাবিকভাবেই চলছে জোর আলোচনা।