|
---|
উজির আলী,চাঁচলঃমহকুমা জুড়ে বজ্রঘাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার দুপুরে বজ্রবৃষ্টিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রতুয়া-২ ব্লকের পরাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিণকোল মাঠে থেকে ফিরার পথে এক দোকানে বৃষ্টিতে মাথা গোজানোর আশ্রয় নিয়েছিলেন পাঁচজন চাষি।
ঘটনাস্থলেই ব্রজাঘাতে আনেসুরের মৃত্যু হয়। বাকি চারজনকে রতুয়া-২ ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে আসেন বাসিন্দারা। হাসান আলি ও শেখ হোসেনকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাদিকুল ও মহিদুর ইসলামকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছ বলে খবর। মৃতরা প্রত্যকেই চাঁদপুর লকরিগোলা ও পরাণপুর এলাকার বাসিন্দা বলে খবর।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের রাঙায়পুর গ্রামের মুক্তার আলম নামক এক ১৪ বছরের বালক বৃষ্টির মধ্যে খেলতে গিয়ে ব্রজাঘাতে মৃত্যু হয় বলে খবর।পাশাপাশি এদিন চাঁচল ১ নং ব্লকের শ্রীরামপুরের কিসন নামক এক বালক মাঠে বৃষ্টির মধ্যে গবাদি পশু আনতে গিয়ে ব্রজাঘাতে মৃত্যু হয় ওই বালকের বলে জানা যায়।হরিশ্চন্দ্রপুরে মৃত মুক্তার আলমের পিতা মহঃ নুহু বলেন, ছেলেটা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধূলাতেও মত্ত থাকত। হঠাৎ অকালে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে অবাক লাগছে।
এদিন চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, খুব দুঃখজনক ঘটনা। দেহ মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি প্রশাসন অবশ্যই দেখছে।
চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় বলেন, ব্রজাঘাতে মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। মৃতের পরিবারগুলো যেন দ্রুত সরকারি ক্ষতিপূরণ পায় তা দেখা হবে।
এলাকা জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এই ব্রজাঘাতে। এলাকায় ও মৃতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে এদিন।