"খুসির রাসে স্থানীয় ও বহিরাগত আম-আদমির মাঝে রাজ্যপাল থেকে বিধায়ক অরিন্দম শান্তিপুরে"

শরিফুল ইসলাম, শান্তিপুর : এলেন, দেখলেন, জয় করলেন, রাজকুমারের গল্পের মতোই যেন তিনি অরিন্দম ভট্টাচার্য, বিধায়ক , শান্তিপুর বিধানসভা । একদিকে গোটা শান্তিপুর খুসির রাসে মেতে উঠেছে। পাশাপাশি তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি মিলে মিশে রাধা-কৃষ্ণের লীলা রসে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে ! শান্তিপুরে রাই-রাজার লীলা কে কেন্দ্র করে মেলায় বিধায়কের আগমন ও চলাচল মেলার মেজাজ রাসের আনন্দ চড়েছে সপ্তমে। প্রথম দিন রাজ্য প্রশাসনের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান জগদীপ ধনকর সস্ত্রীক এসেছিলেন শান্তিপুরে । যুগ পুরুষ বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ির রাস উৎসবের উদ্বোধন তাঁর হাত ধরেই সম্পন্ন হলো। পাশে ছিলেন শান্তিপুরের তরুণ বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। স্বয়ং রাজ্যপালের উপিস্থিতিও খামতি থেকে যেত —-সম্ভবত তাই নিজেই ফোন করে ডেকে নিলেন প্রীতিভাজন অরিন্দম কে , সূত্রে খবর । অতঃপর , রাস-রস লীলার খুশি আনন্দঘন মুহূর্তজুড়ে উপস্থিত সকলের মধ্যেও কিছুক্ষণ একান্তে শান্তিপুরের বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে নিলেন রাজ্যপাল শ্রী ধনকর সাহেব ।
রাজ্যপাল কে বিদায় শুভেচ্ছা জানিয়ে এবার অরিন্দম চলে এলেন মেলার প্রাণকেন্দ্র শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুঃস্থ মানুষের শীত বস্ত্র দান শিবিরে । বিধায়কের সৌজন্যে সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন ভারত-নেপাল মৈত্রী সংঘের মুখ্য পরামর্শ দাতা, পশুপতি মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান তথা নেপালের প্রাক্তন রাজ গুরু ড. সংহিতা শাস্ত্রী । অন্তত তিনশোর বেশি দুস্থ-মহিলা ও বৃদ্ধের হাতে তুলে দিলেন কম্বল।
তার পরেই ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে খাঁটি বাঙালিবাবু সেজে সপার্ষদ শান্তিপুরের রাজ পথে রাসের শোভা যাত্রার পথ এবং রাস ও মেলার হাল হকিকত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে । জনসংযোগ যাত্রা কে নিজস্ব ঢঙে শৈপ্লিকে মাত্রা এনে তাকে আরো সুষমামণ্ডিত ও জনমুখী করে তোলার কৌশল যেন অরিন্দমের কাছে মুষ্টিবদ্ধ বৃদ্ধাঙ্গুলির ছোট্ট তুড়ির মতন। মাঝে মাঝে মনে হয় অধিক শিক্ষিত স্বল্প বয়সী তরুণ সুশিক্ষিত এই মানুষটি কেন ব্যক্তিগত উজ্জ্বল ভবিষৎ, মা-স্ত্রী , একমাত্র শিশুর হাসি ভরা মুখ আড়ম্বর বৈভব ছেড়ে পড়ে থাকেন শান্তিপুরে —- রাজনীতি তাঁর কি প্রয়োজন , নাকি রাজনীতির তাঁকে প্রয়োজন।