|
---|
শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি ডেস্ক:
শাসক দলের দাপুটে নেতা বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যার পনেরো দিনের মাথায় সিআইডির পাতা জালে ধরা পরে এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারী। বিধায়ক খুনে এফ আই আর এ নাম আছে এমন, এই নিয়ে মোট পাঁচ জন কে পুলিশ ও সিআইডি গ্রেফতার করে।
সত্যজিৎ খুনের মামলায় আর এক অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের দলছুট বর্তমানে বিজেপির মুকুল রায় এখন কোর্টের রায়ে আগাম শর্তাধীন জামিনে মুক্ত আছেন। সূত্রে প্রকাশ, আজ, নজিরবিহীন নিরাপত্তায় অভিজিৎ পুন্ডারী কে সিআইডি হেফাজতের নেন।
উল্লেখ্য, গত ৩রা ফেব্রুয়ারি তাঁর নিজের বাড়ি হাঁসখালিতেই বিধায়ক পাড়ারই ক্লাবে সরস্বতী পুজোয় যান। পুজো মণ্ডপে অনুষ্ঠান দেখার সময় খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতির ছোড়া গুলির ঘায়ে সেখানেই মারা যান তিনি।
খুনের পর থেকেই অভিজিৎ পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত খবর পেয়ে সিআইডির একটি টিম স্থানীয় স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর রাধামোহনপুর স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
দলের জেলা যুব সভাপতি, অন্যতম মতুয়া মুখ বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের তির প্রথম থেকেই ছিল বিজেপির দিকে। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ ছিল দলীয় দ্বন্দ্বে বিধায়ক খুন হন।
প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে এত কাছাকাছি থেকে শাসক দলের বিধায়ক খুনের ঘটনা কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় রাজ্য-রাজনীতি। প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ সিআইডির তত্ত্বাবধানে।পরে অবশ্য সিআইডির হাতে আসে গোটা ঘটনার তদন্তভার।
কৃষ্ণগঞ্জের তরুণ ও জনপ্রিয় বিধায়কের প্রকৃত খুনি কে ? রাজ্যের শাসকদল ও বিজেপির দাবি-পাল্টা দাবির ভিত্তিতে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছিল। অন্যতম অভিযুক্ত গ্রেফতারের পর প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে আসবে এবার, অপেক্ষা করছেন বিধায়কের পরিবার, এলাকা থেকে শুরু করে রাজ্যবাসী সকলেই।