মোদির সভায় লোক কম, দোষ চাপলো পুলিশের ওপর

নতুন গতি ওয়েব ডেস্কঃ শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৫ জন ও ঝাড়গ্রাম জেলার ৪ দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে খড়্গপুর শহরের সুভাষপল্লির বিএনআর ময়দানে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ‘আপানার এত সংখ্যক মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করতে এসেছেন, এটা আমাদের সৌভাগ্য।’ তিনি তাঁর বক্তব্যে শহিদ ক্ষুদিরাম, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, হেমচন্দ্র কানুনগো, মা সারদা, রানি রাসমণি, মাতঙ্গিনী হাজরার নাম নেন। বলেন, ‘আপনারা ৭০ বছর ধরে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার দেখলেন। পাঁচটা বছর আমাদের সুযোগ দিন। একবার আশীর্বাদ করুন, সবার বিকাশ করব।’

    কিন্তু হায়! মোদির এই ভাষণ শোনার জন্য তখন মাঠে লোক কোথায়? মোদির ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টায়। আগেই যাতে সভাস্থল ভরে যায়, তার জন্য সকাল ৯টার মধ্যে কর্মী-সমর্থকদের মাঠে আসতে বলা হয়েছিল। নেতা-কর্মীসহ বিশিষ্ট মানুষদের কাছে সেই অনুযায়ী আমন্ত্রণপত্রও পৌঁছে যায়। কিন্তু মুখরক্ষা হল না। খড়্গপুর ট্রাফিক ময়দানের হেলিপ্যাডে নেমে সড়কপথে ১১টা ৩৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী যখন সভামঞ্চে এলেন, মাঠ তখনও ভর্তি হয়নি। পিছনের দিকের অনেকটা অংশই খালি। আমন্ত্রিত ভিআইপি আর সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের প্রবেশপথ ছিল আলাদা আলাদা। সাড়ে দশটার সময় যখন মাঠের অর্ধেকও ভরেনি, তখন সবাইকে ভিতরে আসার জন্য বারবার নেতাদের মাইকে ঘোষণা করতে শোনা যায়। এক সময় সভার সঞ্চালক তথা রাজ্য নেতা তুষার মুখোপাধ্যায় মাইকে পুলিসকে বলেন, ‘গেটগুলো আটকাবেন না। সবাইকে ঢুকতে দিন।’ আবার কোনও সময় বলতে শোনা যায়, ‘পুলিস নিমপুরায় আমাদের বাসগুলোকে আটকে দিয়েছে। তার জন্য বহু কর্মী সময়ে আসতে পারবেন না।’
    রাজ্য সভাপতি তথা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষকে এক সময় বলতে শোনা যায়, ‘আমি স্বেচ্ছাসেবকদের বলছি, পুলিসকে সরিয়ে গেটগুলো সব খুলে দিন, বাইরে যারা আছে তাদের ভিতরে ঢুকিয়ে দিন।’ তারপর বহু সমর্থককেই বাঁশের ব্যারিকেড টপকে ভিআইপি জোনে ঢুকে পড়তে দেখা যায়। খানিক বিশৃঙ্খলারও সৃষ্টি হয়। তুষারবাবু পরে অবশ্য বলেন, ‘পরের দিকে অনেক বাস এসেছে। নীচে নামতে পারেনি। আমরা পরে পার্কিংয়ে গিয়ে দেখে এসেছি। প্রচুর বাস ঢুকতে পারেনি। জ্যামের জন্য প্রশাসনেরও কিছু করার ছল না।’ লোক না হওয়ার সমস্ত দায় পুলিসের ঘাড়ে চাপিয়েই এ যাত্রায় মুখরক্ষার চেষ্টা করল বিজেপি নেতৃত্ব।