মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হাঁটল নরেন্দ্র মোদীর সরকার

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসকে কমব্যাট করতে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুয়ারে টিকা পৌঁছে দেওয়ার। এবার একই পথে হাঁটল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাঁরা শয্যাশায়ী রোগী এবং বিশেষভাবে সক্ষম তাঁদের বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জেলাভিত্তিক এমন মানুষজনের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসকে ঠেকাতেই এই দাওয়াই বলে মনে করা হচ্ছে।

    এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি লিখেছে। এখন তাঁরা প্রত্যুত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা। তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামা জমা দিয়ে এই দাবি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘‌বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা সরকার করছে। যাঁরা টিকাকেন্দ্রে শারীরিক কারণে যেতে পারছেন না তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’‌

    শনিবার এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার এজলাসে বিষয়টি ওঠে। তখন কেন্দ্র এই বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়। কেন্দ্রের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভারতী আদালতকে জানান, ৬০ এবং তার উর্দ্ধে বয়স্ক মানুষদের জন্য বাড়ির নিকটেই কোভিড ভ্যাকসিন সেন্টার খোলা হয়েছে। আর যাঁরা শারীরিকভাবে অসুস্থ তাঁদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    যদিও মামলাকারী সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আর্জি জানান, অবিলম্বে দরজায় দরজায় গিয়ে টিকা দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হোক। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ ইতিমধ্যেই এই পদক্ষেপ করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এমনকী ঝাড়খণ্ড এবং কেরল এই কাজ করতে শুরু করেছে। তবে কেন্দ্রও এই ব্যবস্থা করতে চলেছে বলে খবর।