লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে মগরাহাটে মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার কর্মী সভা

জাকির হোসেন সেখ, শিরাকোল  নতুন গতি, ৯ মার্চ : দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক, রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, এবং তৃনমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মোল্লা নিজ কেন্দ্রের প্রতিটি অঞ্চলে নির্বাচন কমিটি গঠনের কাজ সেরে রাখছেন। মগরাহাট ১নং পঞ্চায়েত সমিতির ১১ টা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ডায়মন্ড হারবার ১নং পঞ্চায়েত সমিতির নেতড়া, – এই ১২ টা গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে মগরাহাট বিধানসভা কেন্দ্রের বেশির ভাগ অঞ্চলেই বুথ স্তর পর্যন্ত নির্বাচন কমিটি গড়ার কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিরাকোলেও কমিটি তৈরি। তবুও মাদারের সঙ্গে সমস্ত শাখা সংগঠনের আরও নিবিড় সমন্বয়ের উদ্যেশ্যেই সকাল থেকে চলল মিটিং। যুব, মাইনরিটি, কিষান-মজদুর, এসসি-এসটি-ওবিসি, মহিলা, ছাত্র পরিষদ শেষে ছিল মাদার ও শিরাকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সদস্যাদের সাথে আলাদা আলাদা বৈঠক। মন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় এই বৈঠকি সভায় ভীড় উপচে পড়েছিল শিরাকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাঘরে। মগরাহাট ১নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনুফা বেগম শিরাকোল অঞ্চল থেকেই নির্বাচিত। আগাগোড়া উপস্থিত ছিলেন তিনিও। ১৯ টা বুথের প্রতিটা থেকে ১০ জন করে হাজিরা দিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান মাধবী নস্কর। উপপ্রধান আব্দুল রহিম মোল্লা (ভুলু) অঞ্চলের যুব সভাপতি হিসেবে কয়েকশ কর্মী নিয়ে আলাদা বৈঠক করেছেন মন্ত্রীর সঙ্গে। প্রধান উপপ্রধান মিলিয়ে ১৯ জন সদস্য সদস্যাই উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রীর একটাই কথা, এই লোকসভায় মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা থেকে কমকরে ৭০ হাজার ভোটে লিড চাই। আর শিরাকোল গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দিতে হবে ১০ হাজার ভোটে লিড। মন্ত্রীর এই কথায় করতালির মাধ্যমে মান্যতা দেয় কর্মীরা। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দু দুবার বিধায়ক ও মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে  চাঙ্গা তৃনমূল কর্মীরা।