বর্ধমানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়নের রাজ্য সম্মেলন।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়নের ৪৯ তম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বর্ধমানে। আগামী ১৭- ১৮ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এই রাজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এই উপলক্ষে ১৫ফেব্রুয়ারি এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ রায়, এই ইউনিয়নের রাজ্য সম্মেলনের সম্পাদক জয়ন্ত কুমার পাঁজা, রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি অরুনাভ ধর, রাজ্য সম্মেলনের আহ্বায়ক পলাশ চক্রবর্তী, সংগঠনের আঞ্চলিক সম্পাদক সোমনাথ বসু প্রমুখ। সাংবাদিক সম্মেলনে অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ রায় অভিযোগ করেন : মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ এই লড়াকু সংগঠন। কোভিড ও কোভিড পরবর্তীতে দেশে এক সর্বনাশা নীতি আরোপ করা হয়েছে। মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ও ভোগ্য পণ্য শিল্পের সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভরা এক চরম সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। দেশে কর্পোরেট রাজ নামিয়ানা হয়েছে। ওষুধে ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বোঝা মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে চাপিয়ে দেয়ার জন্য দেশে ৭ থেকে ৮ কোটি মানুষ দারিদ্র থেকে দারিদ্র সীমার নিচে নেমে গেছেন। শোনাতে মাত্র ৩ শতাংশ জিএসটি ধার্য আছে। দেশের আপামর সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে বিত্তবানদের সোনা কেনার জন্য মাত্র তিন শতাংশ জিএসটি । মেহনতী মানুষের স্বার্থে ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সরঞ্জামে জিএসটি প্রত্যাহার করার জন্য দাবি জানানো হচ্ছ। কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম কোর্ট তৈরি করেছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে এই শ্রমকোড একপ্রকার বেআইনি। এ ব্যাপারে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছেও দরবার করা হয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরো অভিযোগ করা হয়েছে ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় এই সংগঠনটি তৈরি হয়েছে। কোনো সংসদীয় রাজনীতির ছত্র ছায়ায় এই সংগঠনটি নাই। বাম আমলেও ১৯৯৮ সালে এই সংগঠনটি মহানগর থেকে শুরু করে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছে। রাজ্য সরকারের কাছেও এই সংগঠনের দাবি : হাইলি স্কিল লিভার হিসাবে রিপ্রেজেন্টেটিভ ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের ঘোষণা করা হোক এবং ন্যূনতম মজুরি ধার্য করা হোক। ওয়ার্কিং রুলস তৈরি করার উপরও জোর দেওয়া হয়। এই রাজ্য সম্মেলনে আড়াই হাজার প্রতিনিধি যোগদান করবেন।