|
---|
সংবাদদাতা,শক্তিগড় : মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শক্তিগড় জুট পার্কের শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে। সমগ্র দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করল শক্তিগড় জুট পার্কের শ্রমিকেরা। শ্রমিক ইউনিয়ন ছাড়াই শ্রমিক ঐক্য সমন্বয় করে জুট পার্ক বন্ধ করে দিল। সাধারণত যেকোনো মিলে বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলি শ্রমিক স্বার্থে আন্দোলন সংগঠিত করে থাকে। বর্ধমানের উপকণ্ঠে বর্ধমান ২নং ব্লকের অন্তর্গত বড় শুলে অবস্থিত শক্তিগড় জুট পার্কে এরকমই এক বিরল দৃশ্য দেখা গেল। ১২ জুলাই কাকভোরে শ্রমিকেরা সমবেত হয়ে জুট পার্কের সামনে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান ও আন্দোলন শুরু করে দেয়। ফলে জুট পার্ক বন্ধ হয়ে যায়। জুট পার্কের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণ ও শ্রমিক স্বার্থের ব্যাপারে সর্বদাই ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, শক্তিগড় জুট পার্কের তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত কর্মী ইউনিয়ন শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে ব্যাক ফুটে চলে গেছে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, শ্রমিক প্রতিনিধিদের না নিয়ে গত সোমবার একটি এগ্রিমেন্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে ২৮৮ টাকা করে দৈনিক বেতন ঘোষণা হওয়ায় আন্দোলনরত শ্রমিকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা এই এগ্রিমেন্ট কে শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী বলে আখ্যা দেন। প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক এখানে কাজ করেন। প্রায় হাজারের কাছাকাছি মহিলা শ্রমিকেরা আছেন। শেখ জাকির হোসেন, রাজেন কুমার মাহাতো, মহুরা বিবি, শেখ সাহিদ, তারকনাথ রায় প্রমুখরা অগ্রভাগে থেকে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শ্রমিকেরা বলেন ইতিমধ্যে যে এগ্রিমেন্ট হয়েছে তা তারা মানবেন না। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এখানকার কর্মী ইউনিয়ন পাশে না থাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই শ্রমিকদের দাবি আরো একশ টাকা বাড়ানো হোক। বর্ধমান ২নং ব্লকের বি.ডি. ও সুবর্ণা মজুমদারকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা আজ তাঁর কাছে এসে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়ে গেছেন। শ্রমিকদের লিখিত অভিযোগ টি তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে ফরওয়ার্ড করে দিয়েছেন। বর্ধমান ২নং পঞ্চায়েত সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অরুন গোলদার বলেন, এগ্রিমেন্ট টি ন্যায্য হয়নি বলে তাঁর ধারণা। জুট পার্কটি খুলুক ও সুষ্ঠু মীমাংসা হোক। এ ব্যাপারে শক্তিগড় জুট পার্কের ম্যানেজমেন্টের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়ার জন্য ফোন করা হলে ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলে মেসেজেরও উত্তর পাওয়া যায়নি। আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, তাদের দাবি দেওয়া পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।