ওয়াকফ সম্পত্তিতে মসজিদ থাকা সত্ত্বেও আইনি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মিল্কি গ্রামের বাসিন্দাদের:দ্বিতীয় পর্ব

“মুর্শিদাবাদে 110 বিঘা ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রির অপচেষ্টা প্রাক্তন মোতায়ালীর বিরুদ্ধে, নীরব প্রশাসন “

    দ্বিতীয় পর্ব :পরপর চারবার পিটিশনে হাইকোর্ট ওয়াকফ বোর্ডকে ওই জমির দ্রুত হস্তক্ষেপের অর্ডার দেন। সেই মতো ওয়াকফ বোর্ড 2008 সালের প্রথম দিকে মসজিদের সেই ওয়াকফ সম্পত্তি খতিয়ে দেখতে টিম পাঠান এবং সম্পত্তি বিক্রি ও নিজের নামে রেকর্ড হস্তান্তরের অপরাধে বাগবুল মঞ্জুদের মতোয়াল্লি থেকে সরিয়ে দেন। পরবর্তীতে আবার ওয়াকফ বোর্ডের প্রতিনিধি দল এসে গ্রামে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে এবং ওয়াকফ বোর্ডের হেয়ারিং এর মাধ্যমে মতোয়াল্লি হিসাবে 5 জনের নাম ঘোষণা করেন।

    সেইমতো নতুন মতোয়াল্লি কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, ক্যাশিয়ার ফজলে মাওলা ও দুই মেম্বার ডক্টর আলাউদ্দিন শেখ এবং মজিবুর রহমান। কিন্তু বাধ আসে মতোয়াল্লি হস্তান্তরের সময়। আগের মতোয়াল্লি তথা গোলাম পীরের ছেলে বাগবুল মঞ্জু এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক মেনে নিলেও 110 বিঘা সম্পত্তির লোভ থেকে সরে আসতে পারেনি. তাই বোর্ড থেকে বারবার জমি হস্তান্তরের কথা চিঠি মারফত এ.ডি.এম.এল.আর.ও, এস.ডি.এল.আর.ও এবং বি. এল.আর.ও কে জানালেও বাগবুল মঞ্জুর চক্রান্তে বি.এল.আর.ও বারবার রেকর্ড সংশোধনের তারিখ পরিবর্তন করতে থাকে।

    এমতাবস্থায় দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় ওই 110 বিঘা সম্পত্তির নতুন মতোয়াল্লী আনোয়ার হোসেন ও ইউসুফ আলী সহ আরো তিনজন মেম্বার বহরমপুর এর ডি.এম ও এস.ডি.ও দ্বারস্থ হন। তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সেই জমি “শেখ আফসার হোসেন ওয়াকফ স্টেট,ইসি 1207” এর নামে হস্তান্তরের কথা বলে বি.এল.আর.ও কে চিঠি দেন। কিন্তু বি.এল.আর.ও সেই চক্রান্তে তাতেও তারিখ পরিবর্তন করতে থাকে।তাই বাধ্য হয়েই নতুন করে ফের ওয়াকফ বোর্ডের দ্বারস্থ হন নতুন মতয়াল্লিরা। সেইমতো প্রাথমিকভাবে 45 বিঘা জমি উদ্ধারের ব্যাপারে আবার এ.ডি.এম.এল.আর.ও, এস.ডি.এল.আর.ও বি.এল.এল.আর.ও কে ওয়াকফ বোর্ড থেকে নতুন করে চিঠি দেয়. কিন্তু সেই জমি উদ্ধারের ক্ষেত্রেও বি.এল.আর.ও টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ।…… (ক্রমশ)