পুলিশের উপস্থিতে MSC আন্দোলনে দুস্কৃতি তান্ডব, প্রাণ সংশয়ে আন্দোলনকারীরা

সাইফুদ্দিন মল্লিক, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসা গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে গত ২৭ মার্চ থেকে কলকাতার প্রেস ক্লাবের সামনে  অনশন আন্দোলন শুরু করেছিলেন, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ( MSC ) প্যনেলে নাম থাকা ১৩০ জন হবু শিক্ষক। আজ ২৯ মার্চ ভোরের নামাজের পরবর্তীতে ( সময় ভোর পাঁচটা ) একদল দুস্কৃতকারী আচমকাই হামলা চালিয়ে MSC আন্দোলনকারীদের উপর  অত্যাচার করে, অনশন তুলতে বাধ্য করেন।

    দুস্কৃতিদের হাতে মার খেয়ে আতঙ্কিত আন্দোলন কারীরা একান্ত সাক্ষাতে নতুন গতিকে জানান ” আমার কিছু জনা নামাজরত অবস্থাতে ছিলাম এবং কিছু জনা ঘুমিয়ে ছিলাম, সেই মুহূর্তে আমাদের ছাওনির ট্রিপল ফেলে চারিদিক দিয়ে সুরু হয় লাথি ঘুষি, এমনকি মহিলাদেরও ছাড়া হয়নি “। তারা হুমকি দিয়ে বলতে থাকে অনশন তুলে ফেলবি, অনশন করবি না, আবার অনশন করলে বা থাকলে তাহলে পরিনত হবে  ভয়ংকর ওরা আরো বলে ১৪৪ ধারা জারি আছে অনশন করা যাবে না।

    অত্যাচারে মাথায় ছোট পেয়ে গুরুতর আহত হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি মনিরুল ইসলাম। দুই আন্দোলনকারীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, একজন মুর্শিদাবাদের মিজানুর আনসারী অপরজন মালদার মনোজ চক্রবর্তী। পুলিশ কোন কিছু না বলেই একপ্রকার তুলে নিয়ে যায় আন্দোলনকারীদের। পুলিশ ও দুস্কৃতদের হাত থেকে বাঁচাতে মসজিদে আশ্রয়ে কিছু আন্দোলনকারী।

    দুস্কৃতিদের অত্যাচারে সঙ্গে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদ আছে বলে মনে করা হচ্ছে, কারন পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল অত্যাচারের সময়। মিনিট দশেক ধরে লাথি ঘুষি সহিত অত্যাচার চলে। অনশন মঞ্চের দশ হাত দূরে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে, নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। পুলিশের কর্তব্য ও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে আক্রান্তদের বাঁচানো, কিন্তু পুলিশতা করেনি। পুলিশতো আন্দোলনকারীদের সুরক্ষাতে ছিল, তাহলে তাদের সামনে আক্রমন হলো কিভাবে এবং তারা দেখেও দর্শকের ভূমিকাতে ছিলেন কেনো ?

    SSC আন্দোলন হলো ২৮ দিন, তাতে কোন রকম দুস্কৃতি হামলা হলোনা। দুই দিন পড়লো MSC আন্দোলন তাতে গুন্ডা দিয়ে পিটানো এর মূল কারন কি ? নামাজরত এবং ঘুমন্ত অবস্থাতে অত্যাচারের সঠিক তদন্তে দিকে তাকিয়ে আন্দোলনকারীরা সহ আপামর বাংলা।