মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরও তালা বন্ধ পুরসার ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট

আজিজুর রহমান, গলসি : মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরও তালা বন্ধ পুরসা হাসপাতালের ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট। পরে পরে নষ্ট হচ্ছে মেশিন ও ল্যাবের সরঞ্জাম। হাসপাতাল কতৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রর পরিসেবা শিকেয় উঠেছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের লক্ষে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কমবেশি ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মান হয়েছে ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট। যেখানে ভাইরালোজি, ব্যাকটেরিওলজি, সুগার, থাইরয়েড সহ অসংখ্য টেস্ট বিনামূল্যে করাতে পারবেন এলাকার রোগীরা। তবে সেই পরিসেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। এমনই অভিযোগ সাধারণ মানু‌ষের। টেস্টের কীট সহ মেশিনারী, ল্যাবের যন্ত্রপাতি, ও বহু সামগ্রী কিনতে অনেক সরকারী অর্থ খরচ হয়ছে। সম্ভবত এটি গত ২০২৩ এর এপ্রিল মাসে চালু করার কথা ছিল। অবশেষে কয়েকদিন আগে ইউনিটটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। তারপরও ইউনিট এর গেট তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি ল্যাবের বহু যন্ত্রপাতি মেশিন আনুসাঙ্গিক বহু মুল্যবান জিনিস একপ্রকার অযত্নে পরে পরে নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগী, আল্পনা বাগদি বলেন, এখনও বাইরে টেস্ট করতে হয়। ইউনিট চালু হলে তো জানতাম। ইউনিটটি চালু হলে ভালো হতো। রোকেয়া বেগম নামে এক প্রসুতির আত্মীয় বলেন, আমরা শুনেছি সব টেস্ট ফ্রীতে হবে। চালু থাকলে কি তালা লাগানো থাকতো। কেন চালু করেনি তা জানিনা। পরীক্ষা গুলো হলে আমাদের লাভ হতো।

    জানা গেছে, আগের বিএমওএইচ ডাক্তার ফারুক হোসেন থাকা কালীন মানুষকে পরিসেবা দিতে তিনি ওই ইউনিটটির জন্য আবেদন জানিয়ে ছিলেন। যাতে সহযোগিতা করেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই ইউনিট চালানোর জন্য কর্মী নিয়োগ করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। তারা বছর খানেক যাবৎ একপ্রকার বসে বসেই বেতন নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। হাসপাতালের এক টেকনিশিয়ান বলেন, একবছর হতে চলল তারা নিয়োগ হয়েছেন। কিছু কিছু যন্ত্রপাতি এসেছে। তবে ইউনিট কবে চালু হবে তা তিনি জানেননা। পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে এই প্রকল্পে কোন বাজেট ধরা ছিলনা। পরে অন্যভাবে টাকার অনুমোদন করানো গিয়েছে। টেন্ডারও হয়েছে।

    এদিকে বিএমও এইচ পায়েল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, পাবলিক হেলথ ইউনিট এর বিল্ডিং সমেত কিছু কাজ শেষ হয়েছে। তবে আর কিছু কাজ বাকি থাকায় চালু করা যায়নি। আমরা জেলায় জানিয়েছি। খুব শিঘ্রই চালু হয়ে যাবে।