|
---|
মহঃ রিপন,মুরারই
পশ্চিমবঙ্গের 294 বিধানসভা কেন্দ্র হল মুরারই। এটি 42 তম লোকসভা কেন্দ্রের অধীন। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন শতাব্দী রায় ,সিপিএমের প্রার্থী রেজাউল করিম ,কংগ্রেস প্রার্থী ইমাম হোসেন ও বিজেপি প্রার্থী দুধ কুমার মন্ডল। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই ভোটের আগে ভোট প্রচারে ব্যস্ত। একটা সময় মুরারই বিধানসভা কেন্দ্র কংগ্রেসের গড় নামে পরিচিত হলেও বর্তমানে সেটা ফিকে পড়েছে এবারের লোকসভা ভোটে তারা তৃণমূলের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। বিগত দুই বিধানসভা ভোটের ফলাফল বলছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলির থেকেই অনেকটাই পিছিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি।
2011 সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নূরে আলম চৌধুরী 77 হাজার 817 ভোট পেয়েছিলেন যা মোট ভোটের 47.75 শতাংশ, দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সি পি আই এম প্রার্থী কামড়ে এলাহী তার প্রাপ্ত ভোট ছিল 73 হাজার 414 যা মোট ভোটের 45.05% সারা দেশজুড়ে মোদি ঝড় থাকলেও তৎকালীন সময়ে বিজেপি প্রার্থী সুধীর রঞ্জন দাস গোস্বামী 4961 ভোট পেয়েছিলেন যা মোট ভোটের 3.04 শতাংশ।
ঠিক একই ছবি 2016 বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আব্দুর রহমান 94 হাজার 961 টি ভোট পেয়েছিলেন যা মোট ভোটের 47.51 শতাংশ, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আলী মর্তুজা খান তার প্রাপ্ত ভোট ছিল 94 হাজার 338 টি যা মোট ভোটের 47. 37 শতাংশ তিনি খুব কম ভোটে পরাস্ত হয়েছিলেন আব্দুর রহমান এর কাছে। কিন্তু 2011 থেকে 2016 তে বিজেপির ভোট ব্যাংকে আরো কম ভোট পড়ে 5345 টি ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের যা মোট ভোটের 2.68 শতাংশ।
তবে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মুরারই বিধানসভাতে চমক দিতে পারে মুরারই এর সন্তান সিপিআইএম প্রার্থী রেজাউল করিম। শামীমা বিবি নামে এক মহিলা বলেন মুরারইয়ে তৃণমূল লড়াইয়ে আছে আমরা চাই দিদির হাত শক্ত করতে। অপরদিকে সুধীন দাস নামে এক ব্যক্তি বলে মোদি সরকার আমাদের সাধারণ মানুষকে ব্যাংকে জিরো ব্যালেন্সে খাতা খুলতে বাধ্য করেছিলেন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তিনি পূরণ করেনি সাথে সেই একাউন্টে যদি টাকা না রাখছি তবে বারবার একাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে। আমি চাই বীরভূম এমন একজন যিনি বীরভূমে মানুষদের জন্য সংসদে কথা বলবে বীরভূমের সমস্যার কথা তুলে ধরবে।