নাবাবিয়া মিশনে নুরুল হকের আগমনে খুশির বাঁধ ভাঙল ছাত্রছাত্রীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা : সুদীর্ঘ ২১ বছর ধরে পথ চলায় ছেদ পড়েনি হুগলির নবাবিয়া মিশনের। ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল মিশনের পথচলা শুর হয় সেখ নুরুল হকের হাত ধরে। মিশনের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ফজলুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি দারোদঘাটন করেন মিশনের। সেই শুরু। তারপর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও নুরুল হকের সঙ্গে ছেদ হয়নি নবাবিয়ার সম্পর্ক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর সেখ নুরুল হকই প্রথম বাঙালি মুসলমান আইএএস অফিসার। যিনি একাধারে সামলেছেন বিভিন্ন সরকারি দফতরের সচিবের পদ, জেলা শাসকের পদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
নবাবিয়া মিশনের সঙ্গে দীর্ঘ যোগসূত্রের ফলস্বরূপ নিয়মিত মিশনের সঙ্গে রয়েছে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। প্রায় নিয়ম করে প্রতিমাসে মিশনের একাদশ, দ্বাদশ ও নেটের ছাত্রছাত্রীদের দুটি বা তিনটি ক্লাস নেওয়া ছাড়াও সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করেন তিনি। সম্প্রতি আবার তিনি মিশনে এসে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা দিলেন নানাভাবে। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী মুনিরা বেগম, নাবাবিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক সেখ শাহিদ আকবার, বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দ আলী রেজা জাহাঙ্গীর প্রমুখ। এছাড়া মিশনের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীবৃন্দ ও ছাত্রছাত্রীরা হক সাহেবের বক্তব্য শোনার জন্য উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছিলেন। নাবাবিয়া মিশনের সম্পাদক শাহিদ আকবার বলেন,” প্রাক্তন আমলা নুরুল হক সাহেব নিঃস্বার্থভাবে সমাজের কাজ করে চলেছেন। একুশ বছর ধরে একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকা কোনো সাধারণ ব্যাপার নয়। তিনি যে আমাদের ভুলে যাননি, এ তাঁর মহানুভবতা।” শাহিদ আকবার আরও জানান, খুব শিগগির মিশনে ডব্লুবিসিএস ক্লাস শুরু হবে নুরুল হক সাহেবের হাত দিয়ে। নাবাবিয়া মিশনের সঙ্গে যুক্ত আছেন বহু দাতা, শুভানুধ্যায়ী, শিক্ষা অনুরাগী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, অধ্যাপক, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ডব্লিউ বিসিএস, আইএএস, আইপিএস অফিসাররা। তাঁদের অনেকেই এদিন উপস্থিত ছিলেন মিশন চত্বরে।
উল্লেখ্য, বাংলার গর্ব বিশিষ্ট শিল্পপতি মোস্তাক হোসেন প্রতিষ্ঠিত জি.ডি মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান ও নাবাবিয়া মিশনের একাডেমি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত আছেন সেখ নুরুল হক। আলহাজ্ব মোস্তাক সাহেব তাঁর বহুমুখি সেবামূলক কাজের পরিচয় পেয়ে আর কালক্ষেপ করেননি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে যুক্ত করেছেন জি.ডি মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে। আজ তারই সুফল পাচ্ছে বাংলার অগণিত দুঃস্থ হিন্দু-মুসলিম ছাত্রছাত্রী।