|
---|
মোঃ রিপন , বীরভূম
30 শে জানুয়ারি বীরভূম জেলার রামপুরহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি সভা করেন। ঝাড়খন্ড লাগোয়া রামপুরহাটের সভায় ঝাড়খন্ড থেকে বহু মানুষ এই সভায় অংশগ্রহণ করে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সভাকে ঘিরে ছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এক চরম উন্মাদনা। আট থেকে আশি কেউই বাদ ছিল না এইসব সভায় আসতে।ঠিক তেমনই 10 বছরের এক ছোট্ট ছেলে রেশন শেখ মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এসেছিলেন। রেশনের বাড়ি রাজ গ্রামের আম্ভুয়া গ্রামে। সভায় এসে রেশন শেখ হতভম্ব হয়ে আর বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি। রামপুরহাট রেল স্টেশনে ভুলবশত ট্রেনে চেপে চলে যাই ঝাড়খণ্ডের দুমকা।দুমকাতে গিয়ে পাগলের মত কান্নাকাটি করছিল।
এদিকে রাতে রেশন শেখ বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোক দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় এবং তারা অনেক খোঁজাখুঁজির পর কান্নাকাটি শুরু করে। ঠিক সেই সময়ই দুমকার এক ব্যাক্তি মুরারইয়ের আরিফ শেখ ও জফিরউদ্দিন শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা ছেলেটিকে বাড়ি আনতে বলে।ছেলেটিকে রাত দুটোর দিকে মুরারই রেল স্টেশনে সেই ব্যক্তি নিয়ে আসে রেশন কে তখন ছেলেটি শীতের প্রকোপে কেঁপে যাচ্ছে।আরিফ শেখ ও তার বন্ধু তাকে বাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে যত্ন সহকারে তার পরনের সব কিছু ব্যবস্থা করে দেন এবং খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। সকালে ছেলেটির কাছ থেকে তার পুরো ঠিকানা ভালোভাবে জেনে আরিফ শেখ ও তার বন্ধু জফিরউদ্দিন শেখ তাকে রাজ গ্রামের আম্ভুয়া গ্রামে বাইকে করে রেখে আসে। সন্তান হারা মা তার সন্তানকে ফিরে পেয়ে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে 10 বছরের রেশন কে। আরিফ শেখ ও তার বন্ধু জফিরউদ্দিন শেখের এই প্রচেষ্টাকে কুর্ণিশ জানিয়েছে মুরারইয়ের সমস্ত মানুষ। আরিফ শেখের কথায় আমি মুরারইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিন্দা ও প্রতিবাদের হয়ে কাজ করি আমার সংস্থা আমাকে শিখিয়েছে সব সময় অসহায় সাথে থাকতে, অসহায়ের পাশে থাকতে। আমরা অন্যায়ের সাথে আপোষ করি না আমাদের কন্ঠ সর্বদাই থাকে নির্ভীক।