বেহাল দশা মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা ব্লক এর অন্তর্গত পাইকপাড়া অঞ্চলের একমাত্র গ্রামীন হাসপাতালের

মুর্শিদাবাদ,রুবেল শেখ: মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা ব্লক এর অন্তর্গত পাইকপাড়া অঞ্চলের একমাত্র গ্রামীন হাসপাতাল যেটি অবস্থিত রাজরামপুর এ।রাজরামপুর মোড় থেকে পূর্বে প্রায় ৫০০ মিটার দূরত্বে রাজরামপুর উচ্চবিদ্যালয় (Rjarampur Highschool, H. S.) এর উত্তর-পূর্বে রাজরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পিছনে অবস্থিত।পাইকপাড়া অঞ্চলের জনসংখ্যা ৩০,০০০+ (ত্রিশ হাজার+)। এখানে হাসপাতাল থাকলেও কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই, সময় সময় একজন ডাক্তার এই হাসপাতালে পাঠানো হয় তবে নিয়মিত নয়, এর কারণও আমাদের জানা নেই। হাসপাতালে ন্যূনতম চিকিৎসার পরিকাঠামোটাও নেই। অথচ এখানে একদিন যথেষ্টই চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু ছিল, আমি যখন ছোট ছিলাম, দেখতাম নদীর ওপারের কয়েক খানি গ্রাম থেকেও মহিলারা (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারাই আসতেন) আসতেন আমাদের এই রাজরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য। তখন ডাক্তার ছিলেন, নার্স ছিলেন, এবং হাসপাতালে কর্মীদের থাকার কোয়ার্টার ও ছিল যেগুলো বর্তমানে জঙ্গলে ভোরে গেছে। যতই দিন গেল ততই যেন হাসপাতাল টি হারিয়ে যেতে বসলো, কেও আর কোনদিন এটা নিয়ে মাথা-ঘামাল না, এখন আমাদের ন্যূনতম চিকিৎসার জন্য ছুটতে হয় সেই ১০( দশ) কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণপুর হাসপাতালে, আর একটু কিছু এদিক-সেদিক হলেই হয় লালবাগ নাহয় বহরমপুর। কিন্তু কেন আমাদের এতবড় অঞ্চল আর যেখানে একটি হাসপাতাল পূর্ব থেকেই অবস্থিত সেই অঞ্চলের মানুষকে কেন ন্যূনতম চিকিৎসার জন্য হা-হুতাশ করে মরতে হবে? আমাদের কি উচিৎ নয় এই নিয়ে সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তোলা?
আমরা কিছু দিন আগে জেলাপরিষদ সদস্য Ali Hajrat সাহেবের হাত দিয়ে স্বাস্থ-কর্মাধ্যক্ষ (মুর্শিদাবাদ-জেলাপরিষদ) এর কাছে একটি লিখিত স্বারকলিপি পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম, জানিনা তার কতদূর কি অবস্থা।তবে পাইকপাড়া অঞ্চলের সকল সু-চিন্তিত নাগরিক এর উচিত এই হাসপাতাল নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা, যাতে করে আমরা আমাদের অঞ্চলের একমাত্র প্রাথমকি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হৃত-গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারি।
তাই আসুন না কোনো রাজনৈতিক রং না দেখে কোন বর্ণ না দেখে কোনো ধর্ম না দেখে, দলমত/জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তুলি, যাতে করে আমাদের অঞ্চলের একমাত্র সাস্থকেন্দ্রটি হারিয়ে না যায়।