|
---|
নিশির কুমার হাজরা, কলকাতা: রাজ্যের গণতন্ত্র হত্যার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কূটনৈতিক নকুল দানায় রক্তাক্ত সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ ছিল নবান্নে, যখন তিনি দিল্লির পার্লামেন্ট ভবনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নগরপাল রাজীব কুমারকে বাঁচানোর চেষ্টায় বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, প্রশাসনের একাংশের সহায়তায় বিপুল অর্থের জাল চক্রের খবর ফাঁসে সাংবাদিককে প্রাননাশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ব্যারাকপুর আদালত চত্বরে আদর্শ তিতুমীর পত্রিকা গোষ্ঠীর সম্পাদক-সাংবাদিক ধৃতরাষ্ট্র দত্তকে নৃশংস ভাবে মারধর করে রক্তাক্ত করেছিল ভূয়ো আইনজীবী চক্রের পান্ডা রাজু কুমার সাউ ওরফে রাজু, সিকান্দার আনসারী ওরফে সোনু, সোমনাথ গাঙ্গুলি ও তিতলি সরকারের দলবল।
উল্টে দ্বীপশিখা চ্যাটার্জী নামে তিতলি সরকারের এক বান্ধবীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে সাংবাদিকদের নামে। ওই চক্রের পান্ডারা এয়ারপোর্ট, নিউ ব্যারাকপুর, হাওড়ার জগাছা থানা ও ঘোলা থানার ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজের সহযোগিতায় একাধিক নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা সাজানো মামলায় ফাঁসিয়ে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছে। এর ফলে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। পুলিশের নাম করে আবার কখনও পুলিশ সেজে আবার কখনও পুলিশের সুপারিশে দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া আইনজীবীরা এই জাল চক্রটি চালাচ্ছে।
এদের দলে পম্পা ওরফে প্রিয়াঙ্কা, আশা,
মনিকা এই সমস্ত দেহপশারিনীদের দিয়ে থানায় থানায় মিথ্যা মামলা করে সাধারণ মানুষকে জেলে পুরে টাকা রোজগার করাও এদের কাজ। বিচারপতির সই করা জামিনের শংষাপত্র নকল করে নিরীহ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াও এদের কাজ। ব্যারাকপুর আদালতে রীতিমতো এদের মৌরসি পাটরা চলছে। এই আইনজীবী রুপী গুন্ডাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না। এমনকি আদর্শবান আইনজীবীরাও এদের ভয়ে তটস্থ হয়ে যায়। ব্যারাকপুর থানার পুলিশও রাজু সাউদের ভয় পায়। ফলে এই গুন্ডা বাহিনীর স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠেছে ব্যারাকপুর আদালত। এই গুন্ডা বাহিনী ও জাল চক্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ পরিবেশন করেই ওই চক্রের হাতে রক্তাক্ত হয়েছিল আদর্শ তিতুমীর পত্রিকা গোষ্ঠীর সম্পাদক-সাংবাদিক ধৃতরাষ্ট্র দত্ত ও সাংবাদিক বৃতি সুন্দর রায়।
সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা জানতে পেরে বারাসাত প্রেস ক্লাব মানববন্ধনের মাধ্যমে বিশাল মিছিল করে জেলা শাসককে প্রতিবাদ পত্র জমা দেয়। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এলে আদর্শ তিতুমীর পত্রিকা গোষ্ঠীর সম্পাদক-সাংবাদিক ধৃতরাষ্ট্র দত্ত মুখ্যমন্ত্রীকে এই জাল চক্রের জালিয়াতির বিষয়ে অভিযোগ জানান। মুখ্যমন্ত্রী এ কথা শুনেই মঞ্চে উপস্থিত রাজ্য পুলিশের ডিজি ও জেলা শাসককে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ নবান্নে আক্রান্ত সাংবাদিকদের ডেকে পাঠানো হয়। বারাসাত প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল নবান্নে গিয়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং এর সঙ্গে দেখা করে এই জাল চক্রের সমস্ত নথিপত্র সহ লিখিত অভিযোগ তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। জাল চক্রের খবর রীতিমতো চমকে ওঠেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা।
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এবং জাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নগরপাল দক্ষ আইপিএস মনোজ বর্মাকে ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বারাসাত প্রেস ক্লাবের পক্ষে এদিনের চারজনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংবাদিক ধৃতরাষ্ট্র দত্ত, অনন্ত চক্রবর্তী, মিন্টু চক্রবর্তী ও বৃতি সুন্দর রায় বলে জানা গেছে।