|
---|
বীরভূম: দেউচা পাঁচামি কোল ব্লকের জন্য সরকারি প্যাকেজ ঘোষণা হওয়ার পর প্রথম বার বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় দেওয়ানগঞ্জে গিয়ে সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে মাঠের মধ্যে আলোচনায় বসলেন।দেওয়ানগঞ্জের ফুটবল মাঠে প্রকল্পকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আদাবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের যাবতীয় প্রশ্নের দিলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, অনিচ্ছুকদের জমি জোর করে নেওয়া হবে না৷
কোল ব্লকের জন্য জমি দিতে অনিচ্ছুকদের কাছে সরকারি প্যাকেজের সুযোগ সুবিধে তিনি বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন তিনি । কোল ব্লকের আলোচনার আগেই তিনি উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন আদিবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কতটা উন্নয়ন হয়েছে এবং আর কী কী উন্নয়ন করতে হবে সব বিস্তারিত ভাবে জানেন তিনি।
আলোচনার পর আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই এলাকায় রাস্তা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। এলাকায় পানীয় জলের বণ্টন ব্যাবস্থা বিশেষ ভাবে গড়ে তোলা হবে বলে জানান জেলাশাসক। বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় আরও জানান, ‘বীরভূমের দেউচা – পাঁচামি কোল ব্লকের জন্য সরকারি ভাবে প্যাকেজ ঘোষণা হওয়ার পর প্রথম বার আমি এই এলাকায় আসলাম৷ আপনাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো বলে । তবে তার আগেই আগের যে ঘটনাগুলি আপনাদের সঙ্গে ঘটেছে তার জন্য দুঃখিত আমি। আপনারা ও আমরা একই আকাশের নীচে থাকি তাই আমরা একই পরিবার। তাই আগামী দিনে আপনাদের মধ্যে যাঁরা যাঁরা জমি দিতে ইচ্ছুক শুধুমাত্র তাঁদের জমিই নেওয়া হবে। জোর খাটিয়ে কারও জমি আমরা নেবো না।’
জেলাশাসক জানিয়েছেন, ইচ্ছুক জমিদাতাদের সেই অ্যাকাউন্টে সরাসরি ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকবে , সরকারি প্যাকেজ অনুসারে তাঁর পরিবারের কেউ চাকরিতে যোগদান করার পরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জমি অধিগ্রহণ করবে।
এছাড়াও জেলা শাসক দেওয়ানগঞ্জ এলাকার আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে আগে ওই এলাকার কী কী উন্নয়ন হয়েছে এবং আরও কী কী উন্নয়ন করতে হবে,সব বিষয় জেনে নিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেন জেলাশাসক। আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিরাও তাঁদের সমস্যার কথা জেলা শাসককে জানান। জেলা শাসক আরও বলেন , ‘স্কুল কলেজ বন্ধের জন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের যে পড়ুয়ারা পড়াশোনা থেকে দূরে আছে তাদেরও শিক্ষাদানের ব্যবস্থা আমরা করছি। ইতিমধ্যেই সেই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও এলাকার আরও যে সকল উন্নয়ন দরকার সব দিকটাই দেখছি আমরা ।’