“স্বল্প তবু মন্দ নয়, যুবসমাজের নতুন প্রয়াস। ফুটলো হাসি মলিন মুখে, দিলো প্রাণের নিদারুন আভাস”

“স্বল্প তবু মন্দ নয়, যুবসমাজের নতুন প্রয়াস। ফুটলো হাসি মলিন মুখে, দিলো প্রাণের নিদারুন আভাস”

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: “Helping Hands-মানবতার হাত” জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে গঠিত এই ছোট্ট একটি গ্রুপ। এই গ্রুপের মূল কান্ডারী হলো ছাত্রসমাজ। প্রধানত বিভিন্ন মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্ববিদ্যলয় ও মহাবিদ্যালয় গুলির কিছু ছাত্রছাত্রী, যাদের মূল নীতি ও অবলম্বন হলো আর্তপীড়িত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে অসময়ে এসে দাঁড়ানো ও তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করা ও তাদের মুখে হাসিফোটানো, সেটা COVID-19 এর মোকাবিলাতে হোক, শীতকালে ফুটপাত এ মানুষের সেবা করা হোক কিংবা বিশ্ব নারী দিবসে অসহায় অনাথ শিশুদের কিছু জিনিস সামগ্রী দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানো ইত্যাদি।

    ”Helping Hands-মানবতার হাত” এর পক্ষ থেকে শীতকালে কলকাতার ফুটপাথ বাসীদের শীত বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ এবং অনাথ আশ্রমের বাচ্চা মেয়েদের সঙ্গে বিশ্ব নারী দিবস উদযাপন সম্পন্ন করে তাদেরকে কিছু খাতা ,পেন ও ফুড প্যাকেট উপহার দেওয়া হয়েছিল।
    মানবদেহই রক্তের একমাত্র উৎস এবং রক্তের প্রয়োজন হলে একজন মানুষই পারে রক্তদানের মাধ্যমে সেই অভাব পূরণ করে একটা জীবন বাঁচাতে। এই উদ্যোগে “Helping Hands-মানবতার হাত” গ্রুপ এর অনেক সদস্য স্বেচ্ছায় ও কিছু জরুরী মুহূর্তে রক্ত দান করে কিছু মুমূর্ষ রুগীদের জীবন বাঁচিয়েছেন। এছাড়া একটা Virtual Blood Bank তৈরি করা হয়েছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ছাত্ৰ ছাত্রীরা তাদের নিকটবর্তী এলাকা তে রক্তদান করে সময়ে অসময়ে একজন মুমূর্ষ রোগীর সহায় হতে পারে। COVID-19 এর দুর্যোগের সময়ে তাদের গ্রুপের ফান্ড থেকে ৫০০ মতো সার্জিক্যাল মাস্ক দিয়েছে দুই মেডিকেল কলেজে, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ।

    কেন্দ্র সরকারের প্রস্তাবনায় সারাদেশ জুড়ে যে লকডাউন শুরু হয়েছে এতে সমাজের একটি বিশেষ অংশ, যারা দিন আনে দিন খায়, COVID-19 এর মৃত্যুর থেকে অনাহারে মৃত্যুকে অনেক ভয় করে। তাই “Helping Hands-মানবতার হাত” এর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যতটা সম্ভব এই সমস্ত মানুষ গুলোকে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার। তাই “HELPING HANDS-মানবতার হাত” এর কিছু সদস্য পূর্ব মেদিনীপুর,মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৪০০ টি পরিবারকে চাল, ডাল, আলু, তেল, নুন, সাবান, পেঁয়াজ ও কিছু মুমূর্ষ রোগীকে তাদের ঔষধ কিনে সাহায্য করেছে।

    এছাড়াও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা হিসেবে বলা হয়েছে গ্রামের মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন এর ব্যবহার সম্পর্কে অবগত করা ও তাদের কে সেগুলি বিতরণ করা
    এবং মেধাবী দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের বই প্রদান করা তাদের নীতি। সাহায্যের হাত ফাউন্ডেশনের ছাত্ররা বলছেন,
    “এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমরা,
    নবজাতকের কাছে এ আমদের দৃঢ় অঙ্গীকার।”