|
---|
আবারও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী
আলম সেখ, নতুন গতি : সামনে ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচন কিছুদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র প্রয়াত হন সেই থেকেই আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এক মজবুত নেতার হাতে বাংলার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার জন্য চিন্তিত ছিলেন কংগ্রেস হাইকমান্ড।গতকাল সেই চিন্তা থেকে দূর হলেন সোনিয়া গাঁধী রাহুল গাঁধী।
পুনরায় বাংলার কংগ্রেস সভাপতি হলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বঙ্গ রাজনীতিতে আরো এক সমীকরণ যোগ হল। বাংলার পুরনো সৈনিকের উপরই ফের ভরসা রাখল প্রদেশ কংগ্রেস ও হাইকম্যান্ড। প্রয়াত সোমেন মিত্রর পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব সুপে দেওয়া হলো বহরমপুরের দীর্ঘদিনের সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি কে। গতকাল এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর প্রয়াতের পর থেকে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বাছতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে। কথা ছিল বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যকেই আনা হবে ওই পদে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিধানসভার দলনেতা আবদুল মান্নান সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে জানান, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে একজন লড়াকু নেতা দরকার, যাঁর নেতৃত্বে লড়বে কংগ্রেস। তাই শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে দিলো হাইকমান্ড । প্রদীপ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে সভাপতির পদে ফেরেন বহরমপুরের দীর্ঘদিনের জনগণের প্রিয় সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী । এর আগে তিনি ২০১৪-১৮ সাল পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন । পুনরায় ওনার উপরই আস্থা রাখলেন সোনিয়া গাঁধী রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস হাইকমান্ড। যদিও সোনিয়া গাঁধী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি খুব কাছের মানুষ কিন্তু আগামী নির্বাচনে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেই এক জোরালো লরায়ের কর্মসূচি নির্ণয় হয়েছে। বাংলায় সিপিআইএম ও কংগ্রেস একত্রিত হয়ে সব রকম কাজ করবে তৃণমূল কে হারানো। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সাথে সিপিআইএম এর ঘনিষ্ট মিল আছে মূলত তারই জন্যে ওনাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেনো বাংলায় সিপিআইএম ও কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়তে পারে। এখন দেখার বঙ্গ রাজনীতিতে কি কি সমীকরণ আসতে চলেছে ।