|
---|
বেহাল রাস্তায় জল দিয়ে মাছ ধরতে গেলে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে
মালদা,নতুন গতি, ১৭ জুন: রাস্তা ভেঙে রয়েছে বহুকাল ধরে। প্রশাসনকে বলেও কোনো কাজ হচ্ছেনা।ভেঙেচুরে একাকার রাস্তা বৃষ্টির জল জমে ডোবার চেহারা নিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবেদে সেই জলে মাছ ধরার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন স্থানীয়দের একাংশ। আর ওই ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় বিজেপির এক নেতা বাড়ির সাব মার্শাল পাম্প থেকে জল তুলে রাস্তায় ফেলে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার জের গড়িয়েছে থানা পুলিশ পর্য়ন্ত। মালদহের চাঁচলের থানাপাড়ায় বুধবার দুপুরে ওই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়ে তৃণমূলের তিন নেতা তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্যকে পাল্টা মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। দুপক্ষই পুলিশের কাছে একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযাগ দায়ের করেছেন।
চাঁচল-১ ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য় বলেন, রাস্তার কিছু অংশ বেহাল। কিন্তু বাড়ি থেকে পাম্প দিয়ে জল রাস্তায় ফেলে যা করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। বেহাল রাস্তা সংস্কার করতে প্রশাসন এরমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।
ব্লকের অদূরে থানার সামনে বেহাল ওই রাস্তাকে ঘিরে বাসিন্দাদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। নিকাশি না থাকার পাশাপাশি সংস্কার না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি জলে থইথই করতে থাকে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানিয়েও ফল হয়নি বলে অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানাতে বুধবার রাস্তার জলে মাছ ধরার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে দেন বাসিন্দারা। দু মিনিটে যে সব থেকে বেশি মাছ ধরবেন তাকে এক হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে জানানো হয়। প্রতিযোগিতার পরেই শুরু হয় বিতর্ক।
প্রসেনজিত শর্মা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক সাফাই করছিলাম। সেই জল ফেলার জায়গা নেই। রাস্তায় জল জমে ডোবা হয়েছিল। তাই সেখানেই ট্যাঙ্কের সামান্য কিছু জল ফেলি। এটা এলাকাবাসীর প্রতিবাদ কর্মসূচি। কিন্তু চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামী মোক্তার হোসেন, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমিতেশ পাণ্ডে ও সদস্য বিপ্লব মণ্ডল বাড়িতে চড়াও হয়ে আমাকে মারধর করেন।
পঞ্চেয়েত সমিতির সদস্য অমিতেশ পাণ্ডে বলেন, রাস্তা সত্যি খারাপ। কিন্তু বিজেপি নেতা প্রসেনজিত শর্মা রাস্তায় জল ফেলে পঞ্চায়েত-প্রশাসনকে হেয় করতেই এসব করেছে। প্রতিবাদ করায় স্থানীয় সদস্যকে সে মারধর করে। প্রসেনজিতকে আমাদের কেউ মারধর করেনি।
চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ জানান দুই পক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে |