|
---|
সানওয়ার খান, ঢোলাহাট – ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের ঢোলাহাট থানার দক্ষিণ দুর্গাপুর রথ তলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রসেনজিৎ দাস(২৬) পেশায় দর্জি, মা ও ছেলের সংসার। গত দু’বছর আগে বাবা মারা যায়। সংসারের কাজকর্ম করার লোকজন না থাকায় বৃদ্ধা মাকে দেখার জন্য, কাকদ্বীপের রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর এলাকার বাদল নস্করের একমাত্র মেয়ে অন্নপূর্ণা দাসের(২০) সঙ্গে গত ৫ই ফাল্গুন বিবাহ হয়। সামাজিক নিয়মকানুন মেনে হলুদ ছাড়িয়ে ১৫ দিনের দিন, মৃতা অন্নপূর্ণা দাদা এবং বৌদির সঙ্গে শ্বশুর বাড়িতে আসে। দাদা একদিন থেকে চলে গেলেও বৌদি থেকে যায় ননদের বাড়িতে। ননদের বাড়িতে ৫দিন থাকার পর গতকাল তার স্বামী তাকে নিতে আসে, রাতে স্থানীয় গদামথুরা শিবের মেলায় দাদা বৌদি সহ স্বামীর সঙ্গে বেড়িয়ে আসে সে। কিন্তু আজ যখন দাদা বৌদি বাড়ি যাবে তখন বাধা দিতে থাকে সে, কান্নাকাটি জুড়ে দেয় দাদা বৌদির সঙ্গে বাপের বাড়ি যাবার জন্য। কিন্তু তারা না নিয়ে বাড়ি চলে যায়। তখন এই বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ঘরের মধ্যে পাখায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে। শাশুড়ি বাড়ি এসে দেখে বউমা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে তখন চিৎকার চেঁচামেচি করে লোকজন ডাকলে তারা স্থানীয় গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। চিকিৎসক সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর যায় ঢোলাহাট থানায়। পুলিশ অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে কাকদ্বীপ ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।