|
---|
সাইফুদ্দিন মল্লিক : জল্পনা আর গল্প সত্যি হল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অর্জুন সিং। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন তিনি৷ লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে অর্জুনের বিজেপিতে যোগ তৃণমূলের চিন্তা দ্বিগুন বাড়ালো অবশ্যই।
বহু বৈঠক, ফোনাফুনি করেও শেষরক্ষা হল না৷ অবশেষে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অর্জুন৷ তবে বারাকপুর কেন্দ্রে থেকে লোকসভার লটিকিটের বদলে মমতা অর্জুনকে মন্ত্রীত্বও দিতে রাজি হয়েছিলেন৷ ১২ মার্চ কালীঘাটে মমতার বাড়িতে কোর কমিটির বৈঠকেও হাজির ছিলেন অর্জুন৷ তখনও মমতার সঙ্গে কথা হয় তাঁর৷ কিন্তু কোনও কিছুর বিনিময়ে অর্জুনকে আটকাটে ব্যর্থ হলেন তৃণমূল নেত্রী৷
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বারাকপুর কেন্দ্রটি নিয়ে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ ওই কেন্দ্রটি থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়তে চেয়েছিলেন অর্জুন সিং৷ অর্জুনের দাবি, দীনেশ ত্রিবেদী বহিরাগত৷ ওই কেন্দ্রে তাঁর তেমন প্রভাবও খাটে না৷ তাই ওই কেন্দ্রে ভোটে লড়ার একমাত্র দাবিদার তিনি৷ কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমো তা মানতে নারাজ৷ তিনি দীনশ ত্রিবেদীকেই টিকিট দেবে বলে মনস্থির করে ফেলেছেন৷ এদিকে নাছোরবান্দা অর্জুন৷ টিকিট না পেলে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে ঘোষনা করেন।
বিজেপির মুকুল রায় প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন, লোকসভার আগে এক এক করে তৃণমূলের উইকেট পড়বে, সেটা করে দেখলেনও। তবে এর আগে যে কয়েকজন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যো দিয়েছেন তারা তেমনভাবে তৃণমূলে দলে প্রাধান্য পেত না৷ কিন্তু ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং দলের ডাকাবুকো নেতা হিসেবেই পরিচিত৷ উত্তর ২৪ পরগনায় অর্জুনের প্রভাবও অনেকটা৷ সেদিক থেকে দেখতে গেলে বারাকপুর কেন্দ্রটিতে এবার হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের৷ পাশাপাশি ওই কেন্দ্রে অর্জুনের লবি কাজ করে সর্বত্র৷