|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- ব্যস্ততম বিমানবন্দরের মধ্যে অন্যতম নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বা দমদম বিমানবন্দর। চলতি সপ্তাহে কলকাতা বিমানবন্দরের (Kolkata Airport) প্রধান রানওয়ে চালু হওয়ার কথা থাকলেও সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় তা আরও কিছুদিন বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর , আগামী চার এপ্রিল থেকে পুরোদমে চালু হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের প্রধান রানওয়েটি (Runway)। আগামী মাস থেকে অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচলের গ্রীষ্মকালের সময়সারণি শুরু হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত বিমান সামাল দেওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরের প্রধান রানওয়ে এবং ট্যাক্সিওয়ের সংস্কার শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে(র্যাট) -এর সংস্কারও চলছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছিল সেই কাজ, শেষ হতে পারে আগামী তিন এপ্রিল। প্রাথমিক বা প্রধান রানওয়ে সংলগ্ন এলাকায় এই কাজ চলায় আপাতত দ্বিতীয় রানওয়ের মাধ্যমে বিমান ওঠানামা করছে কলকাতায় (Kolkata)।কলকাতা বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন , প্রধান রানওয়েতে তিনটি নতুন র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে তৈরির কাজ চলছে। সিভিল ওয়ার্ক শেষ হলেও শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ বাকি আছে। কলকাতা বিমানবন্দরের প্রাথমিক রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৩৬২৭ মিটার। জানা গিয়েছে এই রানওয়ের রাজারহাট প্রান্তে দুটি ও মধ্যমগ্রাম প্রান্তে একটি র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। বর্তমানে কোনও বিমান কলকাতার প্রধান রানওয়ে স্পর্শ করার পর একজন পাইলট ৪০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড সময় নেন ট্যাক্সিওয়েতে যাওয়ার জন্য। নতুন তিনটি র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে তৈরি হলে সেই সময়টা কমে ৩০ সেকেন্ড হবে। এতে প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত বিমান উড়তে বা নামতে পারবে। যদিও একমাস ধরে মূল রানওয়ে বন্ধ থাকায় বিরক্তি প্রকাশ করেছে বেশ কিছু বেসরকারি উড়ান সংস্থা। কারণ দ্বিতীয় রানওয়েতে ঘন্টায় মাত্র ১৫ থেকে ২০ টি উড়ান ওঠানামা করতে পারে। এর ফলে এখন পাইলটদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সূত্রের খবর, গ্রীষ্মকালীন সময়সারণি অনুযায়ী কলকাতায় প্রতিদিন ৪৩০ থেকে ৪৪০ টি বিমান ওঠানামা করবে। মানে প্রতি ঘন্টায় গড়ে ৩০ থেকে ৩২ টি বিমান ওঠানামা করবে। যদিও এখন প্রধান রানওয়ে মেরামতির কারণে বন্ধ থাকায়, দৈনিক সংখ্যাটি ৩৭০ থেকে ৩৮০ আশপাশে ঘোরাফেরা করছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর। ফলে পরবর্তী সময়ে আরও বেশি পরিমাণ বিমান ওঠানামা করতে পারবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে। ফলে যাত্রীরা বিশেষ সুবিধা লাভ করবে, বাঁচবে সময়ও।