|
---|
উজির আলী, নতুনগতি,চাঁচল:০৯ এপ্রিল
উপসর্গ জ্বর,সর্দি ও কাশিতে এক রোগীকে ঘিরে আতঙ্কিত হয়ে উঠল মালদহের চাঁচল সদর এলাকা। শুনশান লকডাউনে জরুরি বিভাগ হাসপাতালও সংযতবাক্ হয়ে যায়।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজস্থান ফেরত অসুস্থ ওই পরযায়ী শ্রমিককে চাঁচল হাসপাতালে নিয়ে আসায় গোটা চাঁচল সদর আতঙ্কিত হয়ে ওঠে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই শ্রমিক জাকির হোসেন (৩০)রাজস্থানের জয়পুরে নির্মান কর্মীর লেবারের কাজে যুক্ত ছিল। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরেই এপ্রিলের ২ তারিখে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কতল গ্রামে নিজ গৃহে ফিরেন বলে পরিবার জানায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপসর্গ জ্বর সর্দি কাশি গলা ব্যথা রয়েছে ওই ব্যক্তির।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। চাঁচল হাসপাতালে নিয়ে আসতেই রোগী দেখে ডাক্তাররা চমকে ওঠে বলে খবর। করোনা সন্দেহে হাসপাতালের ভেতর ঢুকাইনি ওই রোগীকে বলে দাবী পরিবারের । ভয়ে ডাক্তার সহ রক্ষীরাও জরুরী বিভাগের দপ্তরে ঢুকে পড়েন। করোনা আবহে মানবিকের পাশাপাশি এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটল চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
টানা পাঁচ ঘন্টা হাসপাতালের মুল ফটকে ট্রলিতে শুয়ে থাকে ওই রোগী এমনটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় দফায় দফায় চিত্র ফুটে উঠেছে ওই রাতে। এনিয়ে গোটা চাঁচল এলাকায় শোরগোল শুরু হয়ে যায়। রীতিমতো চাঁচল থানা এলাকায় আতঙ্কের থাবা বসিয়েছিল এদিন রাতে।
চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সুপার ওয়াসিম রানা এবিষয়ে জানান,অভিযোগ ঠিক নয়।ওই রোগী হাসপাতালে আসার পর সঙ্গে সঙ্গে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থান্তরিত করা হয়।তবে করোনা আতঙ্কে নিশ্চয়যান যেতে অস্বীকার করায় সমস্যা হয়েছিল।
পরে টানা পাঁচ ঘন্টা পর রাত্রি ১১ টায় চাঁচলের নিশ্চয়যানে মালদা মেডিক্যালে কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের বাইরে ট্রলিতে শয্যাসায়ী রোগীকে ঘিরে রয়েছে পরিবারের চার সদস্য। এমনটাই ছবিতে দেখা গেছে এদিন রাতে। তবে বৃহস্পতিবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত নয়। পরীক্ষামূলক ভাবে নেতিবাচক রয়েছে। বর্তমানে মালদাতেই চিকিৎসাধীন ওই রোগী।