পানীয় জলের সংকট মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে, বিক্ষোভে রাস্তায় নামলো এলাকাবাসী। তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির! পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের

 

    নতুন গতি,মালদা ১১ফেব্রুয়ারী: মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায় ২০-২২ দিন ধরে আসছে না পানীয় জল। পানীয় জল প্রকল্পের দাবি প্রশাসনের কাছে জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এব্যাপারে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে বাসিন্দারা দাবি করেছেন। অবশেষে কলমপাড়ায় হাতে প্লেকার্ট নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক এলাকার কলম পাড়া,থানাপাড়া,শহীদ মোড়, হাসপাতাল মোড়,ব্লক পাড়া,কালীপুকুর সহ বিভিন্ন এলকায় বিগত ২০-২২ দিন ধরে জল নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জলই জীবন, আর সেই জল সংকটে ভুগছে হরিশ্চন্দ্রপুরবাসী। এই পরিস্থিতিতে অন্যের বাড়ি গিয়ে জল আনতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তারাও এক-দু দিন দেওয়ার পর মুখ ফেরাচ্ছেন। এমন অবস্থায় প্রশাসন নিঃশ্চুপ। ভোটের সময় নেতারা চলে আসে, ভোট চাইতে কিন্তু তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় নেই নেতাদের, তীব্র কটাক্ষ স্থানীয়দের। তারা কী খেয়ে বাঁচবে? শেষমেষ কি পুকুর, ডোবার জল খেয়ে বাঁচতে হবে তাদের? প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। হরিশ্চন্দ্রপুরের কোনো কলে জল নেই, নেতারা কি কিছুই জানেনা? এই নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও।

    স্থানীয় বাসিন্দা মঙ্গল দাস জানান, “কী খেয়ে বাঁচবো আমরা? ভোট চাইতে চলে আসছে সব অথচ আমাদের যে কোনো কলে জল নেই সেটা কি জানে না তারা?”

    আরও একজন তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে, “কুড়ি দিন থেকে জল পাচ্ছিনা। আমরা কি পুকুরের জল খেয়ে বাঁচবো? প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে। যত শিগগির এর ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। ”

    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ব্লক প্রেসিডেন্ট মানিক দাস বলেন, “চাঁচলের ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা হয়েছে। তিনি প্রথমে গোলোযোগ ধরতে পারেনি, এখন সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন। খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

    হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণের মন্ডল সভাপতি রূপেশ আগারওয়াল তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কমিশন পেলে তবেই কাজের তৎপরতা দেখা যায়। হরিশ্চন্দ্রপুরবাসী একমাস ধরে জল পাচ্ছেনা কিন্তু প্রশাসনের মাথা ব্যাথা নেই।”