শিলিগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস পুরসভা দখল করবে জানান জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ

শিলিগুড়ি: অবশেষে গৌতম দেবকে সামনে রেখেই তৈরী করা হল তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিলিগুড়ি পুরসভার পনের এবং তেত্রিশ নং ওয়ার্ড।এই দুটি ওয়ার্ডে প্রতিদদ্বিতা করবেন গৌতম দেব এবং রঞ্জন সরকার।এছারাও টিকিট পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুলাল দত্ত,মানিক দে এবং শ্রাবনী দত্ত।শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ তৈরী হবার কথা হলেও গতকাল রাত্রে নাম ঘোষনা হবার পরে সামান্য অসন্তোষ ছাড়া কোনরকমের অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি।শিলিগুড়ির প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কলকাতা থেকে ডাক পড়েছিলো চেয়ারম্যান গৌতম দেব এবং জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষের।সারাদিন ধরে আলাপ আলোচনার পরে সাংবাদিকদের সামনে ববি হাকিম দলীয় ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের নাম দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান।তারপরেই শিলিগুড়িতে বাড়তে থাকে উৎকনঠা।কে প্রার্থী হচ্ছেন কে হচ্ছেন না সেটা নিয়ে তৈরী হয় প্রবল আশঙ্কা।অবশেষে রাত্রি সাড়ে নটার পরে প্রকাশ্যে চলে আসে প্রার্থীদের নাম।নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম সামনে চলে আসায় উচ্ছাসে ফেটে পড়েন অনেকেই।পরে জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ জানান যোগ্য ব্যক্তিকেই টিকিট দেওয়া হয়েছে,এটা মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত সিদ্ধান্ত,এবং দলের প্রত্যেক নেতা এবং কর্মীদের দলের নিয়ম মেনে চলতে হবে।কেউ যদি প্রার্থীর সাথে অসহযোগীতা করে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেবে দল।

    এদিন পাপিয়া ঘোষ জানান এবারে শিলিগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস পুরসভা দখল করবে এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই,তবে জীততে হলে প্রত্যেককেই লড়াই করে জীততে হবে।জেলা সভাপতি আরো জানান আগামী দুএকদিনের মধ্যেই নতুন ভোটার লিষ্ট চলে আসবে,তারপরেই বাড়ি বাড়ি যাবার কাজ শুরু হবে।প্রতিটি ওয়ার্ডেই সবরকমের প্রসতুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।এদিন শিলিগুড়িতে সকাল থেকেই জোর আলোচনা ছিলো প্রার্থী নিয়ে,গত কয়েকদিন থেকেই ঘোষনা হবে,ঘোষনা হবে বলেও ঘোষনা না হবার কারনে অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকেরা।তাই এদিন রাত্রে নাম ঘোষনা হয়ে যাবার পরেই সমর্থকদের মধ্যে তৈরী হয়ে যায় ভোটে নামবার উত্তেজনা।কবে থেকে মাঠে নামতে হবে কিভাবে কাজ করতে হবে এই আলোচনা শুরু হয়ে যায় জেলা অফিসগুলিতে।রাত পর্যন্ত তৃণমূলের পার্টি অফিসে আলোচনায় বসেন প্রার্থী এবং কর্মীরা।সবাই আগামী বাইশে জানুয়ারী নির্বাচনে তৈরী বলে জানিয়ে দেন প্রার্থীকে।তবে তৃণমূল কংগ্রেস যে এবারে যেনতেন প্রকারেন পুরসভা দখল করতে চাইছে সেটা এবারের প্রার্থী তালিকা দেখেই বোঝা গেছে।