|
---|
খান আরশাদ, পাথরচাপুড়ি: শুরু হলো পাথরচাপুড়ির দাতাবাবার ১২৭ তম ওরশ মোবারক ও মিলন মেলা । রবিবার এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন বীরভূমের অতিরিক্ত জেলা শাসক তথা পাথরচাপুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভাশীষ বেজ। উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু বিষয়ক আধিকারিক শামস্ তিবরেজ আনসারি সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা। রাজ্যের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান বীরভূমের পাথরচাপুড়ি। এই পাথরচাপুড়ি স্থানটি খ্যাত হয়ে আছে সুফি সাধক হজরত দাতা মেহবুব শাহ্ ওলির মাজারের জন্য। কথিত আছে সুদুর ইরান থেকে দাতা মাহবুব শাহ্ ওলি বীরভূমের সিউড়ির পশ্চিমে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে পাথরচাপুড়ি নামক স্থানে আসেন এবং সুফি সাধক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। সে সময় তিনি বহু অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জনশ্রুতি। এই দাতা মেহেবুব শাহ্ যিনি “দাতাবাবা” নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন, তিনি বাংলা সনের ৯ই চৈত্র ইহধাম ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তাঁর এখানে একটি মাজার তৈরি হয়। তাঁর প্রয়াণের দিনটিকে স্মরণ করে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে তদানিন্তন জেলাশাসক তথা ব্রতচারী খ্যাত গুরুসদয় দত্ত সরকারিভাবে এখানে প্রথম মেলার উদ্বোধন করেন। পরে সরকারি উদ্যোগে দাতাবাবার মাজারটিকে সংস্কারও করা হয় এবং মাজারের প্রবেশ মুখে চারমিনার গেট-এর আদলে একটি দৃষ্টিনন্দন গেট তৈরি করা হয়। পাথরচাপুরি মেলা রাজ্যের বৃহৎ মেলা গুলির মধ্যে অন্যতম। বিশাল এলাকাজুড়ে বসে এই মেলা। হিন্দু-মুসলিমের সমাগমে ক্ষেত্রটি পরিণত হয়ে ওঠে একটি মিলন মেলায়। কয়েকদিন ধরে চলা সম্প্রীতির এই মেলায় জেলা ও জেলার বাইরে, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ থেকেও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ ভক্ত এসে উপস্থিত হন। এবারে মেলায় জলকষ্ট মেটাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে বহু শৌচাগার। দুষণের কথা মাথায় রেখে মেলাকে যথাসম্ভব প্লাস্টিক মুক্ত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।