জরুরি প্রয়োজনে “ও নেগেটিভ ” গ্রুপের রক্তদিলেন পার্থ প্রতিম মল্লিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: রক্তদান আন্দোলনের কর্মী মুস্তাফিজুর রহমানের যোগসূত্রে জরুরি প্রয়োজনে রেয়ার‌ গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ” ও নেগেটিভ” গ্রুপের রক্ত দিতে এগিয়ে এলেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা রক্তদান আন্দোলনের তরুণ কর্মী পার্থ প্রতিম মল্লিক। একদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ,অন্যদিকে ভোটের মরসুম তাই কম-বেশি রক্তের সংকট চলছে গোটা রাজ্যজুড়েই। তাছাড়া রয়েছে রক্তের গ্রীষ্মকালীন চাহিদা।তাই প্রায় দিনই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীর বাড়ির লোকেদের। সোমবার এভাবেই সমস্যায় পড়েন মেদিনীপুরে মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা প্রসূতি মা রুম্পা ভূঁইয়ার বাড়ির লোকেরা।রূম্পা ভূঁইয়ার চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ২ ইউনিট “ও নেগেটিভ” রক্তের প্রয়োজন ছিল। মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংক থেকে এক ইউনিট রক্ত যোগাড় হয়ে যায় কিন্তু আর এক ইউনিট রক্ত যোগাড় করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন রোগীর বাড়ির লোকেরা।তাঁরা রক্ত খুঁজতে রক্তদানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শেষমেষ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় চিকিৎসক বিশ্বজিৎ ঘোষ মারফত রক্তের এই জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে পৌঁছায়। তিনি সরাসরি যোগাযোগ করেন রক্ত দান আন্দোলনের কর্মী এবং “ও নেগেটিভ” রক্তের অধিকারী পার্থ প্রতিম মল্লিকের সাথে।পার্থবাবু সঙ্গেই রাজি হয়ে যান। কদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পার্থবাবু জানিয়েছিলেন তাঁর শেষ বার রক্ত দান তিন মাস হয়ে গেছে তাই এখন আবার তিনি রক্ত দিতে চান। শেষমেষ মঙ্গলবার সকালেই মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন পার্থ প্রতিম মল্লিক।রোগীর বাড়ির লোকেরা রক্তদাতা সহ, রক্ত খোঁজার কাজে সাহায্যকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য এই নিয়ে বিগত বছর দুয়েকের মধ্যে ৬ বার রক্ত দিলেন এম সি এ পাঠরত বছর ২৩ এর যুবক পার্থ প্রতিম মল্লিক।