পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নিয়ে আসানসোলে অনুষ্ঠিত হলো শতকণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ।

লু তুব আলি : পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নিয়ে আসানসোলে অনুষ্ঠিত হলো শতকণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ। আসানসোল পৌর নিগম, মমতা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও বার্নপুর এর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছেঁড়াপাতার উদ্যোগে আসানসোল রবীন্দ্রভবনে সমাজের অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নিয়ে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হল। উদ্বোধন করেন আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র ফুচু ঘটক, চেয়ারম্যান অমর নাথ, মমতা চ্যারিটেবল এর পক্ষ থেকে অসীম মাজি, কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি সোনালী কাজী প্রমুখ। রবীন্দ্রনাথের কালজয়ী গান আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে র কোরাস গানটির মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রামের মেয়েরা যোগদান করতে পেরে তারা বেজায় খুশি। রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে মঞ্চস্থ করতে প্রান্তিক মেয়েদের দিয়ে অনুষ্ঠান করানোর এই অভিনব প্রয়াসকে অনেক সাধুবাদ জানিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছিল শতকণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ আদবে তা দেড়শ শিল্পীর সংখ্যা ছাড়িয়ে ছিল বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে গৌতম সরকার জানান। অনুষ্ঠানে মিউজিক ট্রাক দিয়ে সহযোগিতা করেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী সুবীর দাস রবীন্দ্র নৃত্য পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতাদের নজর কাড়েন। অনুষ্ঠান চলাকালীন রবীন্দ্রনাথের ছবি আঁকেন বিশিষ্ট শিল্পী বাণী। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, নৃত্যানুষ্ঠান ও সঙ্গীতানুষ্ঠান সুচারুভাবে পরিবেশিত হয়। পরিচালনা করেন প্রদ্যুৎ রায়। উল্লেখ্য, মমতা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গ্রামের অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পরা মেয়েদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা দানের পাশাপাশি তাদের সাংস্কৃতিক নৈপুণ্যে মনন গড়ার কাজে ও বদ্ধপরিকর।