প্রগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় প্রযুক্তিবিদ দিবস পালন

মোল্লা জসিমউদ্দিন : দেশের কিংবদন্তি প্রযুক্তিবিদ কর্ণাটকের ভূমিপুত্র ভারতরত্ন মকসাগুন্ডাম বিশ্বেসভারায়ার ১৬২ তম জন্মদিন দিবসকে স্মরণে রেখে মধ্য কোলকাতার ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। আজ থেকে প্রায় ৫৫ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ১০২ বছর বয়সে প্রয়াত এই কিংবদন্তি প্রযুক্তিবিদের জন্মদিনটি স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর জন্মদিন ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রযুক্তিবিদ দিবস ঘোষণা করেন। এই বরেণ্য প্রযুক্তিবিদের মৃত্যু হয় ২৯৬২ সালের ১৪ এপ্রিল।

    বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রয়াত কিংবদন্তি প্রযুক্তিবিদ ভারতরত্ন মকসাগুন্ডাম বিশ্বেসভারায়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সংবর্ধিত হন রাজ্য তথা কলকাতার বিখ্যাত বেশ কয়েকজন প্রযুক্তিবিদ ও চিকিৎসকেরা। এঁদের মধ্যে আছেন ডা: মনোরঞ্জন সর্দার, ফুটবলার অমিত ভদ্র, ডা: ইন্দ্রনীল বর্গী, নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারপতি সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল, প্রযুক্তিবিদ ও সমাজসেবী অমল নায়েক, রাজীব চট্টরাজ, অমল রায়, সঞ্জয় পাল, প্রবীণ বিশ্বাস, সিদ্ধার্থ প্রামাণিক, আশীষ কুমার সেন, ভাস্কর সেনগুপ্ত, অনন্ত নন্দী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রযুক্তিবিদ সিদ্ধার্থ প্রামাণিক। মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভাগীয় মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মানস ভুঁইয়া বলেন, ইঞ্জিনিয়াররা এযুগের সৃষ্টিকর্তা। আমরা আদেশ দিই। কিন্তু বাস্তব রূপায়ণের কৃতিত্ব তো ইঞ্জিনিয়ারদের। ডাক্তারি যন্ত্রপাতি,সেতু নির্মাণ, বাঁধ পরিকল্পনা,যানবাহন নির্মাণ সবকিছুই ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান। ইঞ্জিনিয়াররা এযুগের বিশ্বকর্মা। প্রশান্ত মহলানবিশ, নেহেরুজী,নেতাজির স্বপ্নের ভারত নির্মাণে প্রথম সারিতে তো ইঞ্জিনিয়াররাই। রাজ্যের নির্মাণে ইঞ্জিনিয়াররা বহু অসাধ্য সাধন করেছেন । সাগর থেকে পাহাড়ে বহু নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করেন। এঁদের অবদান ছাড়া ভারত এগোবে না।