|
---|
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম:- বারবার যেন সিনেমার শুটিং এর চিত্র ফুটে উঠছে অবৈধ কয়লা পাচার ঘিরে।কয়লা পাচারকারীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা। উপর থেকে দেখা যাচ্ছে ফল ভর্তি গাড়ি কিন্তু নীচে রয়েছে অবৈধ কয়লা, শুধু একবার এমনটা নয় কখনো জলের বোতল বন্দী গাড়ি নিচে কয়লা, কখনো বা তুস ভর্তি গাড়ি নিচে সেই অবৈধ কয়লা। এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে, পুলিশ ও তাদের জাল বিস্তার করে অবৈধ কারবার আটকে বড়সড় সফলতা অর্জন করেন।
অনুরূপ ভাবে গতকাল শনিবার রাত্রে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেনের নেতৃত্বে রাণীগঞ্জ মোড়গ্ৰাম ৬০ নং জাতীয় সড়কের ওপর গড়গড়া মোড়ের কাছে একটি ট্রাক এবং একটি পিকআপ ভ্যান আটক করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালাতেই দেখতে পান পিক আপ ভ্যানের ওপরের অংশে বাড়ির ঢালাই এর জন্য ব্যবহৃত পাটা এবং বাঁশ তার নিচে রয়েছে অবৈধ কয়লা।যাহা অবৈধ কয়লা পাচারের নয়া কৌশল।গাড়ি দুটি আটক করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। অবশ্য গাড়ি দুটির চালক ও খালাসি পলাতক। পিক আপ ভ্যানে আনুমানিক ৫ টন এবং ট্রাকটিতে ১২ টনের মতো কয়লা ছিল বলে জানা যায়। অর্থাৎ ১৭ টন অবৈধ ভাবে পাচার হওয়া কয়লা বাজেয়াপ্ত করলো দুবরাজপুর থানার পুলিশ। এই কয়লা গুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, বীরভূম জেলায় অভিনব কায়দায় কয়লা পাচার ঘটেই চলেছে। গাড়িতে বেশিরভাগ অংশ কয়লা বোঝাই করা এবং ওপরের দিকে সাজানো হয় কখনও ইট, কখনও জলের বোতল, কখনও ফল বোঝাই আবার কখনও তুষ চাপিয়ে কয়লা পাচার করার কৌশল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় প্রত্যেকবার ধরা পড়ে এই অবৈধ কয়লা পাচার।