পরমেশ্বর কোনারের নেতৃত্বে বর্ধমান ২ ব্লকের কুড়মুনে ২১ এর প্রস্তুতি

লুতুব আলি : পরমেশ্বর কোনারের নেতৃত্বে বর্ধমান ২ ব্লকের কুড়মুনে ২১ এর প্রস্তুতি। ১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই তদানীন্তন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশের সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরমেশ্বর কোনার। তদন্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু সরকারের বর্বর রচিত হামলার প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। সিপিএমের অকথ্য অত্যাচারকে উপেক্ষা করে পরমেশ্বর কোনার আন্দোলন সংঘটিত করেছিলেন এই ব্লকে। পরমেশ্বর কোনার বর্ধমান ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি। পরমেশ্বর কোনারের নেতৃত্বে ১৬ জুলাই কুড়মুন ২ অঞ্চলের বলগোনা, মাল কিতা ও সিংহপাড়ায় একুশের সমাবেশে যোগদান করার জন্য এক ঐতিহাসিক জন সমাবেশ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরহিত্য করেন পরমেশ্বর কোনার। তিনি অভিযোগ করেন, সিপিএএম এর জল্লাদ বাহিনীরা আজও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দিদি বদল চেয়েছেন বদলা নয়। সেই কারণেই তারা আজ রেহাই পেয়ে গেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা সিপিএম, বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সন্তানেরা এবং তাদের বাড়ির মহিলারা ও সুফল ভোগ করছেন বলে পরমেশ্বর বাবু সমাবেশে উল্লেখ করেন। ঐতিহাসিক ২১ জুলাই কে তর্পণ করার জন্য এই ব্লক থেকে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ধর্ম তলায় অনুষ্ঠিত শহীদ সমাবেশে যোগদান করবেন বলে পরমেশ্বর বাবু জানান। এদিনের সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব ন্ডুল ২ অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গদাধর মন্ডল, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শিশির রক্ষিত প্রমুখ। এছাড়াও যে দিন এই ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই সমাবেশে যোগদান করেন।