পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হল নজরুল কবিতা উৎসব

সংবাদদাতা : পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হল নজরুল কবিতা উৎসব ২০২২ শনিবার ও রবিবার ৪ এবং ৫ জুন। আয়োজক: ছায়ানট (কলকাতা), ভারতীয় বিদ্যাভবন এবং ইনফোসিস ফাউন্ডেশন, ব্যাঙ্গালুরু। বিশেষ সহযোগিতায় আল-আমীন মিশন। বাংলা সহ মোট ১৪টি ভাষায় কাজী নজরুল ইসলাম-এর কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিভিন্ন সংগঠনের আবৃত্তি শিল্পী ও শিশুশিল্পীরা। সেই সঙ্গে ছিল সেমিনার। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ শ্রীমতী কল্যাণী কাজীর আশীর্বাণী পাঠের মাধ্যমে। এলাহাবাদ থেকে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন উর্দু কবি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়, তাঁর লেখা নজম্ অনুষ্ঠানের শুরুতে পাঠ করা হয়। ২ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শৌভিক শাসমল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ হাসান ইমরান, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান, ভারতীয় বিদ্যাভবনের ডিরেক্টর জি.ভি.সুব্রামনিয়ন, ড. শেখ মকবুল ইসলাম (ডি. লিট.), বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ, কলকাতা, আসামের বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ড. রেজাউল করিম, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক মইনুল হাসান, চন্ডীগড়ের বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ড. সঙ্গীতা লাহা চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি এবং সাংবাদিক সৈয়দ হাসমত জালাল এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দারাক্ষান জরীন। হিন্দী এবং ইংরেজীতে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন পুনের বাচিকশিল্পী সুপ্রীতি চক্রবর্তী, তামিলে ড. আর নাক্কিরার, ওড়িয়াতে শ্রেয়া হালদার, মৈথেলীতে সঞ্জীব কুমার তিওয়ারী, উর্দুতে জয়নব খাতুন, সংস্কৃতে সুদেষ্ণা চ্যাটার্জী, অহমিয়ায় ড. কাজী রেজাউল করিম, পাঞ্জাবী, হরিয়ানভি এবং হিমাচলি ভাষায় কবিতা পাঠ করেন চন্ডীগড়ের ড. সঙ্গীতা লাহা চৌধুরী, স্প্যানিশে শুভজিৎ রায়, জাপানী ভাষায় মথুরা দাস এবং এস.কে.জুয়েল হক। বাংলা ছাড়া অন্যান্য ভাষার মানুষদের কাছে কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি কর্মকে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন করে ছায়ানট (কলকাতা)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের একাংশের মতে, কলকাতার বুকে এরকম বহু ভাষায় নজরুলের কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান এই প্রথম। অনুষ্ঠানে বিশেষ সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ এবং আল-আমীন মিশনের সহ-সম্পাদক শেখ হাফিজুর রহমানকে। দুদিনের এই অনুষ্ঠান ছিল প্রকৃত অর্থেই নজরুলপ্রেমীদের মিলন মেলা।