সরকারি ছুটির মধ্যেই ৬০০ মাস্ক সেলাই করে বিনামূল্যে বিতরণ করলো ছাত্রীরা

সরকারি ছুটির মধ্যেই ৬০০ মাস্ক সেলাই করে বিনামূল্যে বিতরণ করলো ছাত্রীরা

    নিজস্ব প্রতিনিধি, নতুন গতি,নদীয়া; চারিদিকে “করণা” ভীতি কর্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হবিবপুর নাইট সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় সরকারি প্রকল্প উৎকর্ষ বাংলার ভাবনায় টেলারিং বিভাগের১০০ কুড়ি জন ছাত্রীর ছ মাসের কোর্স প্রায় শেষ।সেখান থেকে শিখেছে নানা ধরনের পোশাক তৈরি। কিন্তু তা দিয়ে তো বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে না! বাজারে সঠিক দামে বা পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত নেই মাস্ক। কিন্তু তাতে কি! সদিচ্ছা থাকলে, উপায় হয়েই যায়। তিন সেলাই দিদিমণিকে রাজি করিয়ে সংস্থার দাদাদের ৫০ মিটার টিস্যু এনে দেওয়ার আবদার শিক্ষানবিশ ছাত্রীদের। চার দিনের মধ্যে সকলে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে তৈরি হল ৬০০ মাস্ক। সেগুলো বিতরণ করা হলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে,স্থানীয় হবিবপুর পঞ্চায়েত অফিস এবং রানাঘাট ১ ব্লক অফিসে। বিডিও অফিসের সামনে পথচলতি সাধারণ মানুষকে নিজে হাতে মাস্ক বিতরণ করে আনন্দিত ছাত্রীরা। স্বাদ পেলো সংকট মুহূর্তে মেয়েদের দেশ ভক্তির অগ্নিপরীক্ষার মাধ্যমে সৃষ্টির আনন্দ। শিক্ষিকারা পেলেন দৃষ্টান্তমূলক এই কাজের গুরুদক্ষিণা।
    সংস্থার পক্ষ থেকে সম্পাদক প্রীতম সাধু ও সভাপতি মোহন বিশ্বাস
    জানান ” সরকার থেকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়ার জন্য আয়োজন স্বার্থক হয়েছিল আগেই, তবে এক ধাপ এগিয়ে চরম বিপদসংকুল সময়ে, জনহিতকর কাজে অংশগ্রহণনে সংস্থার মুখ উজ্জ্বল করলো।”পূর্ণিমা মিস্ত্রি, সুতপা সরকার, শম্পা মন্ডলের মত শিক্ষিকাগন জানান “বহু ছাত্রীদের সেলাই শিক্ষা দিয়েছি, এভাবে সকলের একাগ্রতার সাথে উদ্যম দেখিনি কখনো! গর্ববোধ করি ছাত্রীদের জন্য।