কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল বিখ্যাত,করোনার প্রভাবে বিক্রি হচ্ছে না মাটির পুতুল দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা

মঞ্জু্র, নতুন গতি,নদীয়া: নদীয়ার কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল বিখ্যাত,শ্রাবণ পূর্ণিমার আগের একাদশীতে বসে ঝুলন। আর একাদশীর আগে ঝুলনের পুতুলের চাহিদা থাকে খুব। কিন্তু এবছর করোনা ও লকডাউনের জন্য পুতুল শিল্পীদের মাথায় হাত।প্রতিবছর পুতুল কেনার পাইকার ও খোলা বাজারে বিক্রী করে প্রায় একজন মৃৎশিল্পের ১০- ১৫ হাজার টাকার মত পুতুল বিক্রয় হয়। গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত চলছে লকডাউন যার ফলে এবছর পুতুলের চাহিদা একদম নেই। লকডাউন এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক বিভিন্ন মেলা বন্ধ থাকায় গভীর সংকটে এই পুতুল শিল্পীরা।

    নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠী পাল, সায়ন পালদের কথায় জানুয়ারী মাস এই পুতুল তৈরীর প্রস্তুতি চলে, কিন্তু এবছর করোনার জন্য আমাদের পুতুল ঘরে রেখে দিতে হবে, কিভাবে বিক্রী করবো বুঝতে পারছি না, সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে, বেশ কিছুদিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দূরদূরান্ত থেকে পাইকারী খদ্দের নেই বাজারে।পুতুল পট্টি শিল্পীদের এই পুতুল তৈরী হয় ঝুলনের জন্য প্রতিবছর। করোন ভাইরাসের মহামারী কারণে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে মৃৎশিল্পেরা।