সাঁতরাগাছি স্টেশনে আরপিএফের লাঠিতে এক হকারের মাথা ফাটার অভিযোগে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা : সাঁতরাগাছি স্টেশনে আরপিএফের লাঠিতে এক হকারের মাথা ফাটার অভিযোগে বিক্ষোভ। আরপিএফের লাঠিচার্জের অভিযোগে হকারের মাথা ফাটার জেরে ক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছির পাশের রামরাজাতলা স্টেশনে চলে রেল অবরোধ। যার জেরে একাধিক লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন (Train) বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায়। রাতের দিকে ঘণ্টা দেড়েক অবরোধ চলার পর তা উঠে যায়। যদিও লাঠিচার্জের অভিযোগ উড়িয়ে আরপিএফ সূত্রে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, বেআইনিভাবে স্টেশনে হকারি চকছিল। এতে বাধা দেওয়া হয়। পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে যায় একজনের। সবমিলিয়ে গোটা ঘটনায় এলাকায় প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়।ঘটনার সূত্রপাত রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। হকাররা দাবি সাঁতরাগাছি স্টেশনের দু’নম্বর প্লাটফর্মে কয়েকজন হকার জিনিস বিক্রির সময় আরপিএফ জওয়ানরা তাদের আটক করে এবং তাদের জিনিসপত্র রেল লাইনে ছুড়ে ফেলে দেয়। এতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই হকারকে আরপিএফ অফিসে আটক করে নিয়ে যায় সেই সময় অন্যান্য হকারদের খবর দিলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে প্রায় ১০০ জন হকার। তারা আরপিএফ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হকারদের অভিযোগ হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে আরপিএফ জওয়ানরা তাদের ওপর লাঠি চালায়। যদিও আরপিএফ এর পক্ষ থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়ছে। এক আরপিএফ অফিসারের বক্তব্য বিক্ষোভের সময় লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করলে হকাররা রেললাইনে পড়ে গেলে তারা আহত হয়। এরপর কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে রামরাজাতলা স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করেন হকাররা। রাত দশটা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে যে অবরোধ। যার জেরে একাধিক স্টেশনে ডাউন চেন্নাই হাওড়া মেল, ডাউন পন্ডিচেরি হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস, ডাউন পাঁশকুড়া হাওড়া লোকালসহ একাধিক ট্রেন সাঁতরাগাছি স্টেশনসহ বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। চরম বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।ঘটনা প্রসঙ্গে, দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কেএস আনন্দ বলেছেন, ‘প্ল্যাটফর্মে হকারি করা বেআইনি, তাই তাদের বাধা দেওয়া হয়।’

    প্রসঙ্গত, জরিমানার নামে যখন তখন মোটা টাকা আদায়ের অভিযোগ ঘিরে গতকাল ধুন্ধুমার বেঁধেছিল মেচেদা রেল স্টেশনে। রেল পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে হকার ইউনিয়ন। তাদের হটাতে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে রেল পুলিশের বিরুদ্ধে (GRP)। যে লাঠিচার্জের জেরেই এক হকারের মাথা ফেটে যায় বলেই অভিযোগ ওঠে।