|
---|
নাজিম আক্তার, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: শনিবার রাতে মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ছয় স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়তেই আজ হাসপাতালের সামনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন নার্সরা। তথাকথিত রাজ্যের ঘুণেধরা স্বাস্থ্যব্যবস্থার আসল চেহারাটা প্রকাশ্যেই বেআব্রু হল আজ।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে যে সব চিকিৎসক-নার্স ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কথা, রোগীদের কথা ও নিজেদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার কথা ভেবেই পিপিই কিটের দাবিতে আজ এই অবস্থান বিক্ষোভ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে নিজেদের প্রতিবাদও তুলে ধরেছেন নার্সরা। তার কোনওটাতে লেখা, ‘মানুষকে বাঁচাতে হলে চিকিৎসা কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দাও’, কোনওটাতে আবার লেখা, ‘আমরা বাঁচাতে চাই, বাঁচতে চাই’
এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নার্স সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলেন, ‘প্রশাসনে যারা রয়েছেন, তারা যদি আমাদের রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে আমরা রুগীদের কীভাবে রক্ষা করবো। চোখের সামনে একের পর এক সহকর্মীকে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে দেখে আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত। জীবন-মৃত্যুর লড়াইতে যে সুরক্ষাটুকুর প্রয়োজন, সেই সুরক্ষাটুকু দাবি করছি। সরকারের যদি টনক না নড়ে, তাহলে প্রয়োজনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়া হবে।’
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের করাল থাবায় কার্যত ছারখার হয়েছে বিশ্বের তথাকথিত এক নম্বর দেশ আমেরিকা সহ চীন ও স্পেন।ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেমন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তেমনই প্রতি মিনিটেই এক-একজন করে মানুষ অসহায়ভাবে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। মারণ ভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে গিয়ে ভারত তথা বাংলার চিকিৎসক-নার্সরা শুধু হিমশিমই খাচ্ছেন না, কার্যত নিজের জীবনকেও বাজি রাখছেন। পিপিই ছাড়াই করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন তাঁরা। আর অনেককেই জীবন দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হয়েছে।