|
---|
হম্মদ নাজিম আক্তার, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: লাগাতার বৃষ্টি ও বেহাল হয়ে যাওয়া নিকাশি ব্যবস্থার কারণে দীর্ঘ কয়েক দিন ধরেই জল জমে রয়েছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার হরিশচন্দ্রপুর হাই স্কুলের পাশে শিব মন্দির ও তেতুলবাড়ি পাড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির অবহেলা ও গাফিলতির কারণে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা দুর্ভোগ হচ্ছে। নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকে এলাকায় কোনো কাজ করেনি। আজকে বাসিন্দারা জলে ডুবে রয়েছে সেদিকে ও তাদের নজর নেই।স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক করে সবাইকে জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে জলের মধ্যে বাস করছেন এলাকার কয়েক হাজার পরিবার। আজ ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে ওই এলাকার প্রায় কয়েকশ মানুষ এলাকায় বিক্ষোভ দেখালেন। এলাকাবাসীর দাবি দুদিন আগে ব্লক স্তর থেকে প্রতিনিধি এসে সরেজমিনে দেখে যান। কিন্তু দুইদিন কেটে গেলেও কোনো সমাধান বের হয়নি। এদিকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে ক্রমেই জল বেড়ে চলেছে। ঘরের ভেতর জল ঢুকে যাচ্ছে। পাড়ায় জমা জল নিয়ে ওই এলাকার দুটি পাড়ার মধ্যে এদিন রাস্তা কাটা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়ে যায় সকাল থেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বলন্দু সরকার জানান আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার অভাবে ভুগছে। দীর্ঘ কয়েকবছর বর্ষার সময় এই এলাকাগুলিতে জল জমে যায়।কোন নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার দরুন আমাদেরকে জলের মধ্যে সারা বর্ষা কাটাতে হয়।প্রশাসন থেকে জনপ্রতিনিধি কেউ তখন আমাদের দেখতে আসে না। পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দুটোই তৃণমূল পরিচালিত। এলাকার জেলা পরিষদ মেম্বার তৃণমূল। কিন্তু কারো একবারও সময় হলো না এলাকায় এসে দেখে যাওয়ার। আমাদের এমপি খগেন মুর্মু ভোটের সময় দেখা যায় জনগণের কাজে ওনাকে দেখা যায় না। এবারও আমরা পঞ্চায়েত তরফে অভিযোগ জানিয়েছিলাম কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক ইমরান আলী বহুবার স্থানীয় প্রশাসনকে আবেদন-নিবেদন আমরা করেছি এখানে একটি নিকাশি নালার দেওয়ার জন্য কিন্তু কোন কাজ হয়নি। গত কয়েকদিনে লাগাতার বৃষ্টিতে আশেপাশে সমস্ত এলাকায় ভরে গিয়েছে। সব জায়গায় কোথাও হাঁটু জল কোথাও কোমর জল। আজ সকাল থেকেই এলাকায় দুটি পাড়ার মধ্যে জল বের করা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। এভাবে চলতে থাকলে এলাকাটি বৃষ্টির জলে বানভাসি হয়ে যাবে।
এলাকার পঞ্চায়েত সমিতি মেম্বার তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র জানান ব্লক অফিস থেকে জয়েন ভিডিও আমি এই এলাকাটি পরিদর্শন করেছি । এখানে নিকাশি নালা গড়ে তোলাটাটা খুব প্রয়োজন। বর্তমানে এখনই নিকাশি নালা গড়ে তোলা যাবে না। বর্ষা মিলে আমরা তার কাজে হাত দেবো। এখন বর্তমানে পাইপ দিয়ে আমরা জন্মের পর একটা বিকল্প ব্যবস্থা করছি। আশা করছি সাময়িকভাবে সমস্যা মিটবে।
এদিকে নিকাশি নালার অভাবে হরিশ্চন্দ্রপুর বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। সমস্ত পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষার জল যাওয়ার জায়গা কোথাও নেই।যে নিকাশি নালা বলে হরিশ্চন্দ্রপুর এ গড়ে তোলা হয়েছিল সেগুলো দেখভালের অভাবে সবই অচল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হরিশ্চন্দ্রপুর বাসীকে এই বৃষ্টিতে আবার বন্যায় ভাসতে হবে।