পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হয়।

লুতুব আলি : পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হয়। পূর্ব বর্ধন বর্ধমান জেলা ব্যাপী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিভিন্ন ক্লাব ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শামিল হয়। জামালপুর ব্লকের ডিএস স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাজি। বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক সৌমেন্দ্রনাথ পাল সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের সমন্বয় করে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শিক্ষক দেবজ্যোতি হাজরা, বিশ্বজিৎ পাল সাইন্স এক্সিবিশন ও দেয়াল ম্যাগাজিনে দায়িত্বে ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক দেবাশীষ চক্রবর্তী ও শিক্ষিকা রিঙ্কু চ্যাটার্জী। এই বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিজিৎ দাস, রানা লাহা, রিক্তা লাহা, ত্রিদিশা ঘোষ অনুষ্ঠানে নজর কাড়ে। বড়শুল সিডিপি উচ্চ বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক রামচন্দ্র সরেন জানান, এই বিদ্যালয়েও মনন শীল অনুষ্ঠান হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক কমলেশ মন্ডল ও এনসিসির পরিচালনা করেন এনসিসির অফিসার তথা শিক্ষক সমীর মুর্মু।
অন্যদিকে বর্ধমান শহরের স্বেচ্ছা সেবা সংস্থা মিলিত প্রয়াস বর্ণাঢ্য সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংস্থার সম্পাদক প্রতনু রক্ষিত জানান, নতুনগঞ্জে এই সংস্থা অনুষ্ঠান করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বর্ধমান শহরের ছন্দম বর্ধমান সংশোধনাগারে গিয়ে কয়েদিদের দিয়ে অনুষ্ঠান করার। এই অনুষ্ঠানে পৌরহিত্ব করেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ছন্দমের কর্ণধার মেহেবু ব হাসানের অনুষ্ঠানের সাফল্য দেখে স্বপন দেবনাথ ভুয়সী প্রশংসা করেন।
বর্ধমানের আরেকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্যা য়া রা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ৭৫ জন ভিক্ষাজীবী ও রিক্সা চালকদের ত্রিবর্ণ কাঁচা খাবার প্রদান করেন। নেতৃত্ব দেন সংস্থার সহ-সম্পাদিকা শতাব্দি মজুমদার, সদস্যা স্বর্ণশ্রী চ্যাটার্জি, সদস্য অনির্বাণ নন্দী প্রমুখ। বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয় ও তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হয়। পৌরহিত্য করেন কলেজের অধ্যক্ষ শিবপ্রসাদ রুদ্র। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বাচিক শিল্পী মোশাররফ আজম বক্তৃতা ও আবৃত্তি পরিবেশন করে সকলের মন জয় করেন। রায়না লাইফ লাইন সেন্টার প্লেসে রায়না রেজিস্ট্রি অফিসে ভাবো গম্ভীর ভাবে অনুষ্ঠান হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য বক্তারা ছিলেন, বর্ধমান ও জলপাইগুড়ি জেলা ক্রেতা আদালতের প্রাক্তন বিচারক ও মানবাধিকার কর্মী কাজী মোঃ রফিক, কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, গোলাম আহিয়া খান প্রমুখ।