|
---|
মহামারীতে ম্লান স্কুল-কলেজ, মালদহের চাঁচল প্রশাসনের তরফেই পালিত হল রবীন্দ্র জয়ন্তী
উজির আলী,নতুনগতি, চাঁচল: অন্যবছর সকাল থেকে মানুষের ঢল নামে এই দিনটিতে। বিশ্বকবির জন্মদিনে কবিকে প্রনাম, শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রভবন, স্কুলগুলি নানা অনুষ্ঠানে আনন্দ মুখরিত হয়ে ওঠে। এবার পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। লকডাউনের বেড়াজালে বন্দি মানুষ। কিন্তু তা বলে বিশ্বকবি, সকলের প্রাণের কবির জন্মদিন পালিত হবে না তা কি হয়?
চাঁচলে তাই পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে পালিত হল রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব। শুক্রবার কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীতে চাঁচল থানা থেকে সুদৃশ্য ট্যাবলো বের হয়। লকডাউনের সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে শহরে ৫ কিলোমিটার এলাকা প্রদক্ষিণ করে ট্যাবলো। নেতৃত্বে ছিলেন চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস, চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ সহ থানার সমস্ত পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মীরা। শহরঘুরে ট্যাবলো নিয়ে কবিগুরুকে শ্রদ্ধার পাশাপাশি কোভিড-১৯ নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতনও করে পুলিশ। মাস্ক না পড়ে বাইরে বের না হওয়া, অকারণে বাইরে না বের হওয়ার জন্য বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়।
লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে রোজগার হীন অবস্থায় রয়েছে চাঁচল ট্যাক্সি ইউনিয়ন। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন চাঁচল থানার প্রশাসনের তরফে ট্যাক্সি ইউনিয়নের চালকদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এছাড়াও চাঁচল ১ নং ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে রবীন্দ্রভবনে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে রবীন্দ্র গীতির মাধ্যমে পালন করা হয়েছে এদিন রবীন্দ্র জয়ন্তী। চাঁচলের মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায় কবিগুরুর কবিতা বলেন এদিন। তবে করোনা আবহে স্কুল পড়ুয়ারা হাজির নাহলেও জনা কয়েকের মাধ্যমেই সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব। উপস্থিত ছিলেন চাঁচল ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমীরণ ভট্টাচার্য্য,চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আজমেরী খাতুন, পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য অমিতেষ পান্ডে, চাঁচলের সাহিত্য লেখন আবুবক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।