|
---|
দু’দিন ধরে চলছে রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের সংঘাত কলকাতা পুরসভার প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:
কলকাতা পুরসভার প্রশাসক নিয়োগ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি তার কাছে পৌঁছনোর আগেই মিডিয়ার কাছে তা কি করে পৌঁছে গিয়েছিল, এনিয়ে বেজায় চটেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল দেরি না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই দিনই একটি চিঠি দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়টি অবিলম্বে তাকে বিশদে জানাতে বলেছিলেন। চিঠির সদুত্তর না পাওয়ায় এনিয়ে গত দু’দিন ধরে চলছে রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের সংঘাত।
প্রসঙ্গত: প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে কারা কিভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাও জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। এব্যাপারে তিনি সংবিধানের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের নির্দেশিকা অমান্যের অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যপাল। তার আরও অভিযোগ তার নামে অর্ডার করা হলেও, তাকে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। প্রশাসক নিয়োগের ব্যাপারে তার সঙ্গে কোনও আলোচনা পর্যন্ত করা হয়নি। অথচ তিনিই রাজ্যের প্রধান। তাকে অন্ধকারে রেখে প্রশাসক নিয়োগের পুরো ব্যাপারটাই রাজ্য সরকার অসাংবিধানিক উপায়ে করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হিসেবে যাকে রাখা হয়েছে তিনি রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রশাসক মন্ডলীতে যারা রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই মেয়র পারিষদ সদস্য। এরা হলেন, অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার, দেবাশিস কুমার, সামসুজ্জামান আনসারি, মনজুর ইকবাল, তারক সিং, স্বপন সমাদ্দার, ইন্দ্রানী সাহা ব্যানার্জি, রতন দে, আমিরুদ্দিন (ববি), রাম প্যারে রাম, বৈশান্বার চ্যাটার্জী, অভিজিৎ মুখার্জী প্রমুখ।
জানা গিয়েছে, গত বুধবারই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছিল, রিমুভ্যাল অফ ডিফিকাল্টিস অ্যাকটে ফিরহাদ হাকিমকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। অথচ রাজ্যপাল নিজেই যখন বলছেন, তাকে অন্ধকারে রেখে রাজ্য সরকার প্রশাসকের নাম অনৈতিক ভাবে ঘোষণা করেছে। ঠিক তখনই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও রাজ্যের পৌরমন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়রকে প্রশাসক পদে বসানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।