হরিশ্চন্দ্রপুরে আরো করোনা পজিটিভ তিন, এলাকায় আতঙ্ক, সীল গ্রাম, ব্যারিকেড ভেঙে পারাপার

 

    হরিশ্চন্দ্রপুর,৯ মে, মহ: নাজিম আক্তর: হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রামে আরো তিন করোনা পজিটিভ। এলাকায় আতঙ্ক। গ্রামে সীল, রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড, ঘরের গেটে তালা। এমনই চিত্র ধরা পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা,রামপুর, মহেন্দ্রপুর,রাণিপুরা,মানকি বাড়ি সহ একাধিক গ্রামে।তবুও কিছু মানুষ করোনা ভয় উড়িয়ে ব্যারিকেড ভেঙে পারাপার করে চলেছে।

    উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত আটটায় যে ৯৩টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে তার মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর, রানিপুরা,মানকি বাড়ি এলাকার চারজন করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এর পর আবারো মহেন্দ্রপুর গ্রামে শনিবার তিন জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে মালদা জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।এদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ ও দু’জন মহিলা। তবে তাঁদের বিস্তারিত বিবরণ এখনও পাওয়া যায়নি।

    মালদা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ওই ৪ জনকে চিহ্নিত করে শুক্রবার রাত্রে তাঁদের কোভিড হাসপাতাল মালদার নারায়ণপুরে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার মহেন্দ্রপুর গ্রামের আরো তিনজন করোনা আক্রান্তকেও কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যান বলে খবর।

    এই নিয়ে মালদা জেলায় মোট ১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল। এর মধ্যে প্রথম আক্রান্ত মানিকচকের পরিযায়ী শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে। আরেকজন এদিন সুস্থ হয়েছেন। বাকি একজন পুরাতন মালদার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি। বাকি সাত জনকে মালদা নারায়নপুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    মালদা মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর, যাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে, তাঁরা তিনদিন আগে রাজস্থানের আজমের থেকে সরকারি উদ্যোগে বাড়ি ফিরে এসেছেন।

    জানা গেছে আটটি বাসে করে মোট ২২৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক মালদায় এসেছে।তারা সকলে আজমেরে শ্রমিকের কাজ করতেন। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য দপ্তরের তৎপরতা শুরু হয়েছে।

    হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ।নিজ এলাকার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে পরিযায়ী শ্রমিকদের রেখেছে বলে খবর।

    হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অমল কৃষ্ণ মন্ডল জানান,করোনা নিয়ে অবহেলা করলে মানুষ আরো বেশি করে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। এলাকার মানুষকে সচেতন হতে হবে। পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে বলে জানান।

    রানিপুর গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের মেম্বার রফিকুল ইসলাম জানান, গ্রামে দুই জন করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এর খবর পেতেই গ্রামে ঢোকার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাড়িটিতে দুইজন সিভিক ভলেন্টিয়ার্সের নজরদারিতে রয়েছে। গ্রামে মাইকিং করে এলাকার মানুষকে করোনা সচেতনতা মূলক প্রচার করা হয়েছে বলে জানান।

    হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির ভবানীপুর গ্রামে বাসিন্দা গোলাম মর্তুজা জানান ভবানীপুর গ্রামে চারজন পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি এসেছে।আরো কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছে।তারা নিজ বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু তাদেরকে ঘুরাফিরা করতে দেখে এলাকার লোক আতঙ্কে পরে।তাই প্রশাসনের নির্দেশে ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাই সেন্টারে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।