|
---|
শরিফুল ইসলাম, শান্তিপুর : রাণাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী রুপালী বিশ্বাস।
কে এই রুপালী বিশ্বাস ?
নদীয়ার শাসক দলের কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক নিহত সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী।
তৃণমূলের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি , এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হাসঁখালি নিজের বাড়িরই পাশেই সরস্বতী পূজো মণ্ডপে অনুষ্ঠান চলাকালীন খুব কাছ থেকে আততায়ীর ছোড়া গুলিতে খুন হন।
জেলার অন্যতম মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক, আগাগোড়া প্রতিবাদী চরিত্রের দাপুটে বিধায়ক সত্যজিৎ ছিলেন সমাজ বিরোধী ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিরোধী দলের উত্থানে পথের কাঁটা। উন্নয়ন আর মানুষের পাশে সর্বসময় থাকা মানুষটিকে না সরালে এলাকা দখলের লড়াইয়ে ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছিল তৃণমূল বিরোধী শিবির–তাই এই নৃশংশ হত্যা কান্ড, অভিযোগ তাঁর দল ও এলাকাবাসীর।
রাজনীতিতে সম্পূর্ণ আনকোরা নিতান্ত সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত, নদীয়ার বেতাই কলেজের স্নাতক রুপালীকেই বিয়ে করেন সত্যজিৎ তিন বছর আগে। রুপালী ও নিহত সত্যজিৎ বিশ্বাসের একটি বছর দেড়েকের পুত্র সন্তান রয়েছে, নাম সৌমজি, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আস্ত একটা জগৎ যাঁর অসম্পূর্ণ হয়ে গেল।
এদিন, বাড়িতে টিভির স্ক্রিনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম ঘোষণা হতে দেখেই পরিবারের সঙ্গে আবেগে চোখের জল ধরে রাখতে পারেন নি রুপালী।
স্বামী-পুত্র-সংসার এই সংক্ষিপ্ত বিত্তের মধ্যেই স্বাচ্ছদ্য পঁচিশের রুপালী এই প্রথম বছর দেড়েকের শিশু পুত্র সৌমজিৎ কে কোলে নিয়ে ভোটের কঠিন ময়দানে!
পারবেন তো ?
কয়েকদিন আগেই তাঁর স্বপ্নের জগতে আকাশ ভেঙে পড়েছে। দিন কয়েকের নির্মম অভিজ্ঞতায় চিনে নিয়েছেন নিহত সত্যজিৎ -এর স্ত্রী, কে অপন কে পর।
পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বিনীত ও সংক্ষিপ্ত উত্তর :
“দিদি আছেন, দল আছে।”